পাতা:আমার কথা (প্রথম খণ্ড) - বিনোদিনী দাসী.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার কথা!
৮৯

আর আছে স্মৃতির জ্বালা! পাপের অনুতাপ! কিন্তু ঈশ্বর দয়াময় তাহাও নিশ্চয়! জীব যতই অধঃপতিত হউক না কেন তাঁর দয়াতে বঞ্চিত নহে। তিনিই দেন, তিনিই লন, ইহাও তাঁহার করুণা, ইহাতে আক্ষেপ নাই। সেই অসীম করুণাময় এই নিরাশ্রয়া পতিত ভাগ্যহীনাকে একটী সুশীতল আশ্রয়স্থল দিয়াছেন। যেখানে বসিয়া এই দুর্ব্বিসহ বেদনাপূর্ণ বুক লইয়া একটু শান্তিতে ঘুমাইতে পাই! ইহা তাঁহারি করুণা! এখন শেষ কথাগুলি শুনুন!

 আমি যে সময় থিয়েটারে কার্য্য করিতাম, সেই সময়ের দু’ একটী কথা বলি। আমি এত বালিকা বয়সে অভিনয় কার্য্যে ব্রতী হইয়া ছিলাম যে, আমি যখন “সরোজিনী”তে “সরোজিনী”র অংশ অভিনয় করিতাম; তখন এখনকার “ষ্টারের” সুযোগ্য ম্যানেজার মহাশয় ঐ নাটকে “বিজয়সিংহের” অংশ অভিনয় করিতেন। তিনি এখনও বলেন, “সে সময় তোমার সহিত আমার বিজয়সিংহের ভূমিকা লইয়া প্রেমাভিনয় করিতে বড় লজ্জা হইত! কিন্তু অভিনয় এত উৎকৃষ্ট হইত যে একদিন অভিনয়কালীন “ভৈরবাচার্য্য” যখন “সরোজিনী”কে বলি দিতে যায়, সেই সময় দর্শকবৃন্দ এত উত্তেজিত হইয়া পড়িয়া ছিল যে ফুটলাইট ডিঙ্গাইয়া ষ্টেজে উঠিতে উদ্যত! তাহাতে মহা গোলযোগ হইয়া ক্ষণেক অভিনয়কার্য্য বন্ধ রাখিতে হইয়া ছিল। ইহা তোমার মনে আছে কি?”