পাতা:আমার কথা (প্রথম খণ্ড) - বিনোদিনী দাসী.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বেঙ্গল থিয়েটারে।

 কৈশােরে পদার্পণ করিয়া বেঙ্গল থিয়েটারের অধ্যক্ষ পূজনীয় ৺শরৎচন্দ্র ঘােষ মহাশয়ের অধীনে কার্য্যে নিযুক্ত হই। ঠিক মনে পড়েনা, কি কারণ বশতঃ আমি “গ্রেট ন্যাশন্যাল” থিয়েটার ত্যাগ করি। এই বেঙ্গল থিয়েটারই আমার কার্য্যের উন্নতির মূল; এই স্থানে ৺শরৎচন্দ্র ঘোষ মহাশয়ের কর্ত্তৃত্বাধীনে অতি অল্প দিনের মধ্যে প্রধান প্রধান ভূমিকা অভিনয় করিতে আরম্ভ করি। মাননীয় শরৎবাবু আমায় কন্যার ন্যায় স্নেহ করিতেন, তাঁহার অসীম স্নেহ ও গুণের কথা আমি একমুখে বলিতে পারিনা। প্রসিদ্ধা গায়িকা বনবিহারিণী (ভুনি), সুকুমারী দত্ত (গোলাপী) ও এলােকেশী সেই সময় “বেঙ্গলে” অভিনেত্রী ছিলেন। তখন মাইকেল মধুসূদন দত্তের “মেঘনাদ বধ” কাব্য নাটককারে পরিবর্ত্তিত হইয়া অভিনয়ার্থে প্রস্তুত হইতে ছিল। আমি উক্ত “মেঘনাদ বধ” কাব্যে সাতটী পার্ট একসঙ্গে অভিনয় করিয়া ছিলাম। ১ম চিত্রাঙ্গদা, ২য় প্রমিলা, ৩য় বারুণী, ৪র্থ রতি, ৫ম মায়া, ৬ষ্ঠ মহামায়া, ৭ম সীতা। বঙ্কিমবাবুর “মৃণালিনীতে”