পাতা:আমার জীবন.djvu/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার জীবন b') সে সমুদয় কথা বলা অতি বৃহদ্ব্যাপার । তাহা বিস্তারিত করিয়া বলা আমার সাধ্য নহে, তবে কিঞ্চিৎ মাত্র বলিতে পারি যে, তিনি অতি উত্তম লোক ছিলেন । তেমন একটি লোক বড় দেখা যায় না। র্তাহার শরীরটি বেশ স্থলাকার ছিল। বাস্তবিক তাহাকে দেখিলে যেন কর্তা কর্তা বোধ হইত। অপরিচিত লোকও যদি হঠাৎ তাহাকে দেখিত, সেও চিনিতে পারিত যে ইনিই কর্তা। তিনি বড় দয়ালু ছিলেন। প্রজাদিগের প্রতি র্তাহার কত দয়। ছিল, তাহার ত সংখ্যাই নাই । আর অপরাপর সকলের প্রতিও তাহার অতিশয় দয়া প্রকাশ পাইত । তিনি যেমন দয়ালু ছিলেন, তেমন দাতাও ছিলেন। এমন কি তিনি খাইতে বসিলে যদি কেহ আসিয়া বলিত আমি কিছু খাই নাই, তাহা হইলে যতক্ষণ পর্যন্ত তাহাকে খাইতে না দেওয়া যাইত, সে পর্যন্ত তিনি খাইতেন না, বসিয়া থাকিতেন ; তাহকে খাইতে দিয়া পরে আপনি খাইতেন । তিনি রাজকার্যেও বিলক্ষণ তৎপর ছিলেন, আর তিনি মামলা মোকদ্দমা বড় ভালবাসিতেন। তিনি বিলক্ষণ প্রতাপবিশিষ্ট পুরুষ ছিলেন, তদুপযুক্ত র্তাহার বিশ পচিশটা মোকদ্দমা লাগাই থাকিত । কখন তিনি মোকদম ছাড়া থাকিতেন না । ভারী ভারী লোকের সঙ্গে তাহার কাজিয়া ছিল । কিন্তু কখনও কাহার নিকটে পরাজিত হইতেন না, মোকদমা জয় করিয়াই আসিতেন । র্তাহার এমন দোর্দণ্ড-প্রতাপ ও এমন বিশাল কণ্ঠধ্বনি ছিল যে, যখন তিনি কোন ব্যক্তির উপরে বিক্রম প্রকাশ করিতেন, তখন গ্রামস্থ সকল লোক কম্পিত-কলেবর হইত। যত ভারী ভারী জমিদারের সঙ্গে তাহার মোকদ্দমা ছিল। দুই পরগণার জমিদার এক কুঠিয়াল সাহেবের সহিত র্তাহার সর্বদাই ফৌজদারী মোকদ্দমা হইত। কিন্তু পরমেশ্বরের প্রসাদে ঐ সকল মোকদ্দমাই জয় হইত ; একটি মোকদ্দমাতেও তিনি সাহেবের সহিত পরাজিত হইতেন না। আর দক্ষিণ বাড়ীর ভারী জমিদার মিরালি আমুদের সঙ্গেও তাহার অনেক ফৌজদারী মোকদম ছিল। তালুক মুলুক লইয়। ঐ সকল কাজিয়া হইত। তেঁতুলিয়। নামে এক গ্রাম আছে, ঐ গ্রামের বার জানা মিরালি আমুদের সম্পত্তি,