পাতা:আমার জীবন.djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার জীবন 34 এই প্রকার দেখিতে দেখিতে অমনি জাগিয়া উঠিলাম। জাগিয়া দেখি, রাত্রি প্রভাত হইয়াছে । তখন আমার নিকটে যাহারা ছিল, তাহাদিগের নিকটে ঐ স্বপ্নের কথা বলিতেছি, ইতিমধ্যে আমার সপ্তম পুত্রবধুর প্রসব-বেদন উপস্থিত হইয়াছে শুনিয়া, স্বপ্নে যে এত আহলাদ হইয়াছিল তাহায় লেশমাত্রও থাকিল না, স্বপ্নের কথা সকল ভুলিয়৷ গিয়া, বিষয় বিষে শরীর মন এককালে অবসক্স হইয়া পড়িল । তখন এই বিপদে পরমেশ্বর কি করিবেন, এই চিন্তাতেই মগ্ন হইলাম । ক্ষণকাল পরে, ঐ প্রসবিনীর গর্ভ হইতে একটি পুত্র সন্তান জম্মিল, ঐ পৌত্রটির মুখ দেখিয়, তখন আমার সেই স্বপ্নের কথা মনে পড়িল এবং আহলাদসাগরে ভাসিতে লাগিলাম । আমার পৌত্র জন্মিয়াছে, এই ত পরমহলাদের বিষয় । সংসারী লোকের পক্ষে ইহার অপেক্ষা আহলাদ আর কি আছে ! বিশেষ, স্বপ্নের কথা মনে পড়িয়া, সেই স্বর্ণচাঁপা পরমেশ্বর আমাকে দিয়াছেন, এই দৃঢ় বিশ্বাসে আহলাদে আমি এককালে মগ্ন হইয়া বলিতে লাগিলাম, হে দীননাথ ! হে পিতা পরমেশ্বর ! নিদ্রিত জাগ্রত কর্ম আমার হৃদয়ে উদয় হইয়া, আমার জ্ঞান হইতেছে, যেন তোমাকেই দর্শন করিতেছি । হে পিতঃ ! আমি তোমার অজ্ঞান সস্তান, তোমার গুণ-গরিমা আমি কি জানিতে পারি, তথাপি তোমাকে শত শত ধন্যবাদ দেই । রামদিয়ার ১২৮০ সালের জর বর্ণন রাগিণী ধানশী—তাল খেমটা হায় হায় হ'চ্চে এই রামদিয়াতে জ্বরের মালখানা । সন ১২৮০ সালে কার্তিক মাসে যায় জানা ঃ জ্বরের এমি যে রীতি, যার বাড়ীর যেটি, ক্রমে ক্রমে শয্যাগত হচ্চে সকলটি ; আবার ভিন্ন দেশের লোক আইলে আমি পড়ে ৰিছান ॥