পাতা:আমার জীবন.djvu/১১৪

У а в खांशांद्र खैौतिब ধিনি জগৎ কায়ণ, বিশ্বব্যাপী নিরঞ্জন, স্থষ্টি স্থিতি প্রলয় বাহাতে । নাই তার স্থানাস্থান, আছেন তিনি সর্বস্থান, অবিদিত নাই ত্রিজগতে ॥ শুন মন বলি তাই, তার পরে আর নাই, সেই বস্তু গোলকের ধন । সেই হরি দয়াময়, বসাইয়া হৃদয়, জ্ঞান নেত্র কর দরশন ॥ হে প্রভু অধমতারণ, হে করুণাময় বিপদভঞ্জন হরি, তোমার দয়ার তুলনা নাই । তোমার লীলা গুণ বেদ ৰিধির অগোচর। হে নাথ, তোমার মাহাত্ম্য তোমার নামের গুণ আমি নরাধম কি বলিতে জানি ? হে নাথ, তুমি যখন যাহ কর তাহাই আশ্চর্য বোধ হয় । আজ আমি তোমার একটি আশ্চর্য কাণ্ড দেখিয়াছি । হে দয়াময়, আমার মন পাষাণ । তোমার আশ্চর্য কাও দেখিয়৷ সেই পাষাণ মন আহলাদে গলিয়া পড়িতেছে। হে মদনগোপাল, তোমার আশ্চর্য দয়ার প্রভাব দেখিয়া আমার মন পুলকে পূর্ণ হইয়া নৃত্য করিতেছে । আজ আমার মনে আনন্দ আর ধরিতেছে না। এই সকল কথা আমার মনের কথা, অন্ত লোক কেহ জানে না । সেইজন্য এ কথাটি আমি বিশেষ করিয়া বলিতেছি । আমাদের সেকালে সেই একমত ব্যবহার ছিল । এখন সে সকল পরণ পরিচ্ছদ কিছুই নাই। সে যাহা হউক আমার নাকে একখানি ৰেশর ছিল, সে বেশরখানি অর্ধ চন্দ্রাকৃতি । সেই বেশরের সঙ্গে ঐ রকম বেশর আর তিনখানি লাগান ছিল। এই বাটির নিকটে পুষ্করিণী আছে। এক দিবস আমি পুষ্করিণীর ঘাটে স্নান করিতে গিয়াছি । আমি আমার গলা জলে নামিয়া কাপড় কাচিতেছি, এমন সময় আমার কাপড়ের সঙ্গে বাধিয়া বেশরখানি গভীর জলে পড়িয়া গেল। যখন বেশর জলে পড়িয়া গেল সেই সময় ঐ বেশল্পখানি পাইবার জন্ত কত লোক জলে নামাইয়া নানাপ্রকার করিয়া জলের মধ্যে ভল্লাস করা হইয়াছিল। তখন কিছুতেই বেশল্পখানি পাওয়া গেল না। আর পাইৰায় কৰাও নহে এবং ঐ বেশল্পখানি আর পাইবার আশাও মনে করি নাই।