পাতা:আমার জীবন.djvu/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

De TA আমার জীবন আমার বয়স ৮২ বৎসর তখন আমার সেই বেশরখানি আমি পাইলাম । এই ৬৭ বৎসর পরে আমার সেই বেশল্পখানি যেমন পূর্বে আমার নাকে ছিল এখনও সেইমত আছে, স্বর্ণবর্ণ বিবর্ণ হয় নাই । কি আশ্চর্য কাণ্ড । জগদীশ্বর কি না করিতে পারেন ? এই বেশরখানি ৬০ বৎসর হইল জলে পড়িয়া হারাইয়া গিয়াছে, আর কখন যে বেশল্পখানি পাইব একথা কখনও মনে উদয় হইত না । আর পাওয়ারও কথা নহে । ৬৭ বৎসর এ বেশরখানি কোথায় ছিল ? ৬০ বৎসর পরে আমার সেই বেশরকে আমার হাতে আনিয়া দিল ? এই বেশরখানি ৬০ বৎসর জল, কাদা, মাটির মধ্যে ছিল, সেই মাটি নানাপ্রকার তাড়ন করা হইয়াছে । পুকুর হইতে মাটি কাটিয়া নিয়াছে, সেই মাটি জল দিয়া পা দিয়া কাদা করিয়াছে, পরে সেই মাটি লইয়া পুষ্করিণীর ধারে প্রাচীর গাথা হইয়াছে । তখনও বেশর ঐ প্রাচীরের মধ্যেই আছে। এত তাড়নেও বেশর পূর্বে যে প্রকার ছিল সেই মত আছে । ঐ বেশরখানি যদি আমার নিকট এতদিন থাকিত তাহা হইলে ভেঙ্গে-চুরে এতদিন কোথায় যাইত । হে প্রভু দয়াময়, হে নাথ অধমতারণ, তুমি নির্ধনের ধন, ঘর্বলের বল, বিপদের তরণী । হে প্রভু কৃপাসিন্ধু, তুমি নিজগুণে সদয় হইয়৷ এই অধিনীর প্রতি দয়া করিয়া ঐ বেশরখানি আমাকে দিবে বলিয়া এই ৬০ বৎসর কত কষ্টে এবং যত্নে রাখিয়াছিলে, এবং আমার হাতেই দিলে । আজ আমার মনের আনন্দ মনে আর স্থান পাইতেছে না । হে প্রভু, এই হতভাগ্য নরাধম রাসম্বন্দরীর প্রতি তোমার এত দয়া প্রকাশ করিয়াছ । ঐ বেশরখানি হাতে পাইয়া আমার জ্ঞান হইল, আমি যেন স্বর্গের চন্দ্র হাতে পাইলাম । আমি সোণ হারাইয়াছিলাম, সেই সোণ আবার পাইলাম বলিয়া এত সস্তোষিত হইয়াছি একথাটি যেন কেহ মনেও না করেন, আমি সেই করুণাময়ের করুণ প্রভাব দেখিয়া এত আস্থলাদিত হইয়াছি । সেই বেশল্প পাইয়া মনে করিলাম এ ৰেশর আমি কোথায় রাখি, কোথা রাখিলে মন