পাতা:আমার জীবন.djvu/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার জীবন ילציג তোমার সেই ঐকৃন্দাবনে সেই মধুর ব্রজলীলা দর্শন প্রার্থনায় চতুমুখ পঞ্চমুখ আদি দেব ঋষিগণ কত যুগ-যুগান্তর অনাহারে তপস্তায় প্রাণধারণ করিয়া আছেন। আমি ক্ষুদ্র জীব, তাহে ছায় নারীকুলে জন্ম । তোমার ব্রজলীলার মাহাত্ম্য আমি কি জানিতে পারি ? বনের পাখী যদি সাধুসঙ্গ ভাগ্যক্রমে পায়, সাধুসঙ্গ গুণে পাখী রাধাকৃষ্ণ নামটি উচ্চৈঃস্বরে উচ্চারণ করে। সাধুসঙ্গের গুণে অপবিত্র দেহ পবিত্র হয় । আমি এমনি হতভাগ্য নরাধম, পশুপক্ষী হইতেও অপদার্থ । আমি সাধুদৰ্শন পাইলাম না । হে অধিকারী মহাশয়, তোমার চরণে কোটি প্রণাম, তুমি নিজগুণে অপরাধ ক্ষমা করিও । মধুর জীবৃন্দাবনে ব্রজলীলা দেখিবেন বলিয়া মহাদেব যোগীবেশ ধারণ করিয়া উন্মত্ত হইয়াছেন । অধিকারী মহাশয়, তুমি জীনন্দের নন্দন হুইয়া যশোদার কোলে বসিয়া যশোদায় মা বলিয়া যশোদার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিয়াছ । মা যশোদা ধড়-চুড়া পরাইয়া রাখাল বেশে সাজাইয়া দিয়াছেন, তুমি ব্রজ গোপীদের সঙ্গে, ব্রজশিশুগণের সঙ্গে ৰনে বনে বনবিহার করিয়াছ । হে অধিকারী মহাশয়, তোমার সেই মধুর ব্রজলীলা, প্রেমরত্বপূর্ণ সেই বৃন্দাবনেই এই ব্রজলীলা শেষ হইলে, তোমার মনের ষে বাঞ্ছ সে সমুদায় পূর্ণ করিয়া তুমি কংস যজ্ঞ উপলক্ষ করিয়া অকুর খুড়ার সঙ্গে মথুরায় চলিয়া গেলে । তোমার লীলার শেষ নাই। তুমি মথুরায় গিয়া মাতুলবংশ রাজাকে ধংস করিয়া তোমার ব্রজের বেশ ধড়-চুড়া মোহনবাণী পরিত্যাগ করিয়া লাল পাগড়ি জামা জোড়া পরিয়া মথুরার রাজা হইয়া রাজসিংহাসনে বসিয়াছিলে । হে অধিকারী মহাশয়, তোমার সংসায়-যাত্রায় তুমি আসিয়া কতপ্রকার সাজ সাজিয়া পৃথিবী ধষ্ঠ করিয়াছ। তোমার লীলা, তোমার মন তুমি জান, অন্তে কে জানিবে ? অধিকারী মহাশয়, এই প্রকার রাজা হইয়৷ কিছু দিবস মথুরায় থাকিয়, পরে তুমি সংসারী হইয়া, বিবাহ করিয়া, স্ত্রী-পুত্র-কঙ্গ সংসায়ে ৰঙ প্রয়োজ, দ্বারক লীলায় সে সমুদায় ৰাসন পূর্ণ কৰিয়াছ।