পাতা:আমার জীবন.djvu/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার জীবন ১২১ (হে ব্রজনাথ, তোমার ব্রজের চিহ্ন কিছুই নাই হে ) কোথা লুকারেছ সে অঙ্গ, হলে কাচা সোণ গৌরবরণ গৌরাঙ্গ। হে ব্রজনাথ, ব্রজে রাধা বলি বাজাতে বাণী এখন হরি বলে বাজাও মৃদঙ্গ ॥ হে অধিকারী মহাশয়, এই কলিযুগে তোমার সেই কালবরণ রাই রূপেতে গিল্টি করা হইয়াছে, এখন তুমি তোমার যাত্রার আসরে আসিয়া গৌরচন্দ্র হইয়া দাড়াইয়াছ। হে অধিকারী মহাশয়, তুমি কিছু দিবস নবদ্বীপে শচীননান হইয়াছিলে, তোমার নাম ছিল নিমাই পণ্ডিত, ঐ সময়ে একটি দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত জয়পত্র লইতে নবদ্বীপে আসিয়াছিলেন। তখন তুমি সেই দিগ্বিজয়ী পণ্ডিতকে জয় করিয়াছিলে । পণ্ডিতকে জয় করে হৈল নামে ধনি ৷ নিমাই পণ্ডিত অধ্যাপক শিরোমণি ॥ এই প্রকার নবদ্বীপে কিছুদিন সংসারী হইয়াছিলে। পরে তোমার সে বেশটি পরিত্যাগ করিয়া সুন্দর চাচরকেশ তোমার শিরে ছিল, সেই কেশ মুণ্ডন করিয়া, পট্টবস্ত্র পরিত্যাগ করিয়া ডোর কৌপীন পরিয়া দও কমণ্ডলু হস্তে ধারণ করিয়া সন্ন্যাসীর সাজ সাজিয়া দাড়াইয়াছিলে। তখন তোমার নাম হুইল শ্রীকৃষ্ণচৈতন্ত । হে অধিকারী মহাশয়, যখন প্রথমে তুমি তোমার যাত্রার আলরে আসিয়া দাড়াইলে, তখন তুমি ব্রাহ্মণ ঠাকুর বলিয়া তোমাকে সকলে মান্ত করিত ও প্রণাম করিত । পরে যখন তুমি সন্ন্যাসী হইয়া দাড়াইলে তখন তোমার নাম হইল শ্রীকৃষ্ণচৈতন্ত । এই ষ্ট্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত নামটি জগতে বিখ্যাত হইল, আর তখন তোমাকে সকলে সন্ন্যাসীঠাকুর ৰলিয়া মান্ত করিতে লাগিল । অধিকারী মহাশয়, তোমার মাতা শচীঠাকুরাণী ও তোমার ঘরণী বিষ্ণুপ্রিয়, ইহাদিগকেও - পরিত্যাগ করিয়া সন্ন্যাসী हर्हेण ।