পাতা:আমার জীবন.djvu/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ আমার জীবন চারি পাচ বৎসর পর্যন্ত আমার শরীরের অবস্থা এবং মনের ভাব কি প্রকার ছিল, তাহা আমি কিছুই জানি না ; সে সমুদয় আমার মা জানেন । পরে যখন আমি ছয় সাত বৎসরের ছিলাম, তখনকার কথা আমার কিছু কিছু মনে আছে । যাহা আমার মনে আছে তাহাই লিখিতেছি । তখন আমি প্রতিবাসিনী বালিকাদিগের সঙ্গে ধূলা-খেলা করিতাম। ঐ সকল বালিকা বিনা অপরাধেই আমাকে মারিত । আমার মনে এত ভয় ছিল যে, আমি মার থাইয়াও বড় করিয়া কাদিতাম না, কেবল দুই চক্ষের জল পড়িয়া ভাসিয়া যাইত । আমার যদি অতিশয় বেদন হইত সে জন্তও কতক কাদিতাম, কিন্তু আমার কাদার বিশেষ কারণ এই, যে আমাকে মারিয়াছে, আমাদের বাটতে সকলে শুনিলে উহাকে গালি দিবেন। আর একটি কথা মনে পড়ায় আমি কাদিতাম : এক দিবস আমার মা আমাকে বলিয়াছিলেন, তুমি কোনখানে যাইও না । তখন আমি মাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম, মা ! যাব না কেন ? তখন আমার মা বলিলেন, আজ বড় ছেলেধরা আসিয়াছে, সে ছেলে পাইলে ছালার মধ্যে পুরিয়া লইয়া যায়। মার ঐ কথা শুনিয়া আমার মনে এত ভয় হইল যে, আমার এককালে মুখ শুকাইয়া গেল । আমার ঐ সকল ভয়ের লক্ষণ দেখিয়া আমার মা তাড়াতাড়ি আসিয়া আমাকে কোলে লইয়া এই বলিয়া সান্তনা করিতে লাগিলেন, যাট, তোমার ভয় নাই। যে সকল ছেলে দুষ্টামি করে এবং ছেলেপিলেকে মারে, ঐ সকল ছেলেকে ছেলে-ধরায় লইয়া যায় । তোমার ভয় কি, তোমাকে লইয়া যাইবে না । মার ঐ কথা আমার মনে মনেই থাকিল। যখন কোন ছেলে আমাকে মারিত, তখন মার ঐ কথা আমার মনে পড়িত । মা ৰলিয়াছেন যে ছেলে ছেলেপিলেকে মারে তাহাকে ছেলে-ধয়ায় ধরিয়া লইয়া যায়। অতএব যখন কোন ছেলে আমাকে মারিত, তখন ভয়ে আমি বড় করিয়া কাদিতাম না। উহাকে ছেলে-ধরায় ধরিয়া লইয়৷ যাইবে, কেবল এই ভয়ে ই চকু দিয়া জল পড়িত। আমাকে