পাতা:আমার জীবন.djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার জীবন 1 মারিয়াছে এই কথাও কাহারও নিকট বলিতাম না । আমি কাদিলে কেহ শুনিবে এই ভয়ে মরিতাম। সকলে জানিত, আমাকে মারিলে আমি কাহার নিকট বলিক না। আমি সকল বালিকাকে ভয় করিতাম, এজন্য গোপনে গোপনে সকলেই বিনা অপরাধে আমাকে মারিত । এক দিবস আমার সঙ্গিনী একটি বালিকা আমাকে গোপনে বলিল, তোমার মায়ের কাছে গিয়া জলপান চাহিয়া আন । আমরা দুই জনে গঙ্গাস্নানে যাই। শুনিয়া আমি ভারী আহলাদিত হইয়া মায়ের নিকট গিয বলিলাম, মা ! আমি গঙ্গাস্নানে যাইব । মা হাসিয়া বলিলেন, গঙ্গাস্নানে যাইবে, কি চাও। আমি বলিলাম, একটা বোচক চাই। গঙ্গাস্নানের অর্থ আমি বিশেষ কিছুই জানি না ; এই মাত্র জানি, পথে বসিয়া জলপান খায়, আর কাপড়ে একটা বোচক বাধিয়া মাথায় করিয়া পথে ঠাটিয়া যায় । আমার মা আমার ঐ সকল অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া একখানি কাপড়ে কিছু জলপান, দুটি আম বাধিয়া একটি পুটলি করিয়া আমাকে আনিয়া দিলেন। তখন ঐ পুটলি দেখিয়া আমার মনে যে কি পর্যন্ত আহলাদ হইল তাহ আমি বলিতে পারি না । আমার বোধ হইল, আমি যেন কত অমূল্য রত্বই প্রাপ্ত হইলাম, আমার আনন্দের আর সীমা থাকিল না। এখন তাহার শত গুণ বেশী আহলাদের কাজ হইলেও তেমন আহলাদ মনে বোধ হয় না । আহা ! সে যে কি আহলাদের দিন ছিল, তাহ বলা যায় না। তখন আমি ঐ পুটলি লইয়া সেই বালিকার সঙ্গে গঙ্গাস্নানে চলিলাম। পরে এক পুষ্করিণীর ধারে বসিয়া জলপান খুলিলাম। তখন আমার সঙ্গিনী বালিকা আমাকে বলিল, দেখ, তুমি যেন আমার মা, আমি যেন তোমার ছেলে । তুমি আমাকে কোলে লইয়া খাওয়াইয়া দাও। তখন আমি বলিলাম, তবে তুমি আমার কোলের কাছে বৈস। তখন সে আমার কোলের কাছে বসিল । আমি বলিলাম, আচ্ছ। তবে খাও । এই বলিরা ঐ সকল জলপান উহাকে খাওয়াইয়া দিলাম। পরে সে বলিল আঁচাইরা