পাতা:আমার জীবন.djvu/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 আমার জীবন দাও। তখন আমি ভারি বিপদে পড়িলাম। কি করিব ভাবিতে লাগিলাম। আমি জলে নামিয়াও জল আনিতে পারিলাম না। অনেক চেষ্টা করিয়া দেখিলাম, কোন মতেই কৃতকার্য হইতে পরিলাম না । আমার সঙ্গিনী ঐ অপরাধে আমাকে একটা চড় মারিল । আমি মার খাইয়া ভয়ে কঁাপিতে লাগিলাম। আমার দুই চক্ষে জল পড়িতে লাগিল । আমি অমনি দুই হ৩ দিয়া চক্ষের জল মুছিয়া ফেলিলাম। আর মনে মনে ভাবিতে লাগিলাম যে, আমাকে মারিতে কেহ বুঝি দেখিল, এই ভয়ে আমি চারিদিকে তাকাইতে লাগিলাম । ঐ সময়ে আমার খেলার সঙ্গিনী আর একটি বালিকা সেই স্থানে ছিল। সে উহাকে বলিল, তুমি কেমন মেয়ে । উহার সকল জলপান খাইলে, আম ফুটাও থাইলে, আবার উহাকে মারিয়া কাদাইতেছ। আমি গিয়া উহার মায়ের নিকট বলিয়া দিই। এই বলিয়। সে আমাদের বাটতে গিয়া সকলের নিকট বলিয়া পুনর্বার আমাদের নিকট আসিয়া বলিল, আমি তোমার মায়ের কাছে সকল কথা বলিয়৷ দিয়াছি । দেখ এখনি, কি করে। ঐ কথা শুনিয়া আমার ভারি ভয় হইল, আমি কঁাদিতে লাগিলাম। তখন আমার গঙ্গাস্নানের সঙ্গিনী বালিকা বলিল, উনি একটি সোহাগের আরসী, কিছু না বলিতেই কাদিয়া উঠেন । এই বলিয়া আমার মুখে আর একটা ঠোকনা মারিল। তখন আমার অত্যন্ত ভয় হইল, আমি চক্ষের জল মুছিয়া মনে মনে ভাবিতে লাগিলাম, আমি সোহাগের আরসী হইয়াছি, না জানি, আমার কি হইল। তখন আমার এই ভয়ই হইতে লাগিল, আজ আমাকে ছেলেধরা ধরিয়া লইয়া যাইবে, উহাকেও বুঝি লইয়া যাইবে। এই ভয়ে আমি আমাদের বাটতে না গিয়া ঐ গঙ্গাস্নানের সঙ্গিনীর ৰাটীতেই গেলাম। তখন উহার মা আমার মুখের দিকে চাহিয়া উহাকে বলিল, উহার মুখ লাল হইয়াছে কেন? তুমি বুঝি উহাকে কাদাইয়াছ? এই বলিয়া তাহার মা তাহাকে গালি দিল । সে তাহার মায়ের কথা শুনিয়া হাসিতে লাগিল। পরে তাহার মা গেলে, সে আমাকে বলিল,