পাতা:আমার জীবন.djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার জীবন o দেখ, আমার মা আমাকে গালি দিল, আমি তো তোমার মত কাদিলাম না । তুমি যেমন আহলাদে মেয়ে হইয়াছ। তুমি বুঝি তোমার মায়ের কাছে গিয়া সকল কথা বলিয়া দিবে। তখন আমি মাথা নাড়িয়া বলিলাম, না, আমি মায়ের কাছে গিয়া কিছুই বলিব না ; ইহা বলিয়া আমি বিষণ্ণবদনে সেই স্থানে বসিয়া থাকিলাম । কিছুক্ষণ পরে আমাদের বাট হইতে একজন লোক আসিয়া আমাকে বাট লইয়া গেল । আমি বাট গিয়া দেখিলাম, সকলেই আমার ঐ সকল কথা বলিয়া হাসিতেছে। আমাকে দেখিয়া গঙ্গাস্নান হইয়াছে বলিয়া আরও হাসিতে লাগিল । তখন আমার খুড়া, দাদা এবং অন্যান্ত সকলেও বলিতে লাগিলেন, আর এ সকল মেয়েদের সঙ্গে উহাকে খেলিতে দেওয়া হইবে না । কল্য হইতে উহাকে বাহির বাটীতেই রাখা যাইবে । তখন সে একদিন ছিল, এখনকার মত ছেলেমেয়ের লেখাপড়া শিখিত না । বাঙ্গালা স্কুল আমাদের বাটতেই ছিল । আমাদের গ্রামের সকল ছেলে আমাদের বাটীতেই লেখাপড়া করিত ! একজন মেমসাহেব ছিলেন, তিনিই সকলকে শিখাইতেন । পর দিবস প্রাতে আমার খুড়া আমাকে কাল রঙের একটা ঘাগর পরাইয়৷ একখানা উড়ানী গায়ে দিয়া সেই স্কুলে মেমসাহেবের কাছে বসাইয়া রাখিলেন । আমাকে যেখানে বসাইয়। রাখিতেন, আমি সেইখানেই বসিয়া থাকিতাম । ভয়ে আমি আর কোন দিকে নড়িতাম না। তখন আমার বয়ঃক্রম আট বৎসর। তখন আমার শরীরের অবস্থা কি প্রকার ছিল, তাহা আমি বলিতে পারি না । কিন্তু সকলে যাহা বলিত, যাহা শুনিয়াছি, তাহাই বলিতেছি : বর্ণটি আছিল মম অত্যস্ত উজ্জল । উপযুক্ত তারি ছিল গঠন সকল । সেই পরিমাণে ছিল হস্তপদগুলি । বলিত সকলে মোরে সোণার পুতুলী৷ আমি কাহারও সঙ্গে কথা কহিঙাম না। আমার মুখে পরিষ্কৃত হইয়া কথা বাহির হইত না । যে হুই একটি কথা বাহির হইত, সেও