পাতা:আমার জীবন.djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার জীবন »ፃ জানিতাম না । এক দিবস আমি খিড়কির ঘাটে স্নান করিতে গিয়াছি, সে সময়ে ঘাটে অনেক লোক আছে । ইতিমধ্যে আমাকে দেখিয়া একজন লোক বলিল, এ মেয়েটিকে যে পাইবে, সে কৃতার্থ হইবে, সে কত কাল কামনা করিয়াছে। আর একজন বলিল, উহাকে লইবার জন্য কতজন আসিতেছে, দিলে এক্ষণেই লইয়া যায়, উহার মা দেয় না । আর একজন বলিল, না দিলেও তো হইবে না । একজনকে দিতেই তো হইবে, ময়েছেলে হওয়া মিছা । ঐ সকল কথা শুনিয়া আমার মনে ভারি কষ্ট হইতে লাগিল, আমি একেবারে অবাকৃ হইয়া থাকিলাম। পরে আমি বাটতে গিয়া মাকে বলিলাম, মা ! আমাকে যদি কেহ চাহে, তবে কি তুমি আমাকে দিবে ? মা বলিলেন, যাট ! তোমাকে কাহাকে দিব, এ কথা তোমাকে কে বলিয়াছে, কোথা শুনিলে, তোমাকে কেমন করিয়াই বা দিব । এই বলিয়া আমার মা চক্ষের জল মুছিতে মুছিতে ঘরের মধ্যে গেলেন। আমি দেখিলাম, আমার মা কাদিতেছেন । অমনি আমার প্রাণ উড়িয়া গেল, তখন আমি নিশ্চয়ই জানিলাম, আমাকে একজনকে দিবেন । তখন আমার হৃদয় এককালে বিদীর্ণ হইয়া যাইতে লাগিল, আমি ভাবিতে লাগিলাম, কি হইল, আমার মা আমাকে কোথা রাখিবেন । ঐ কথা আমার মনের মধ্যে এত যন্ত্রণা দিতে লাগিল যে, আমার মন একেবারে আচ্ছন্ন ও অবসর হইয়া পড়িল, আর কিছুই ভাল লাগে না, আমি কাহারও সঙ্গে কথাও কহি না, আর কোন কাজও করি না, আমার খাইতেও ইচ্ছা হয় না, দিব। রাত্রি আমার কেবল কাল্প। আইসে । আমি ঐ কথা মনে ভাবিয়া সর্বদা মনে মনে পরমেশ্বরকে গুকিতাম। আর সকল সময়ই আমার চক্ষে জল পড়িত। এই প্রকার ভাবিতে ভাবিতে আমার শরীর এককালে শুকাইয়া গেল, এ সকল কথা আমার মনের মধ্যে থাকিত, ইহা আর কেহ জানিত না, কেবল পরমেশ্বর জানিতেন। আমি ইতিপূর্বে শুনিয়াছিলাম সকল লোকেই বলিত যে, সকলেরি বিৰাহ হইয়া থাকে, কিন্তু বিবাহের to-3