পাতা:আমার জীবন.djvu/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રર আমার জীবন কেবল একমাত্র ভয় । কিন্তু মা বলিয়াছেন, ভয় হইলে পরমেশ্বরকে ডাকিও । সেই নামটি জপ করিতে লাগিলাম । আহ ! আমি যে তখন কি ঘোর বিপদে পড়িয়াছিলাম, তাহী কেবল সেই বিপদভঞ্জনই জানেন, অন্য কেহ জানে না । এখন কখন মনে পড়ে সেই দিন । পিঞ্জরেতে পাখী বন্দী, জালে বন্দী মীন ॥ সে যাহা হউক, পরমেশ্বরের নির্বন্ধ, আমার আক্ষেপ করা নিরর্থক । বিশেষতঃ আমার পূর্বের মনের ভাব কি প্রকার ছিল, তাহাই প্রকাশ করিতেছি । আর সকল মেয়ের মনে কি প্রকার হয়, জানি না, বোধ হয়, এত কষ্ট তাহাদিগের না হইলেও না হইতে পারে । মনের কষ্টের কারণতো কিছুই দেখা যায় না, তথাপি নিজ পরিবার ছাড়িয়া আসিয়া আমার চক্ষের জল অহরহঃ ঝরিত । লোকে আমোদ করিয়া পাখী পিঞ্জরে বন্ধ করিয়া রাখিয়া থাকে, আমার যেন সেই দশ ঘটিয়াছে । আমি ঐ পিঞ্জরে এ জন্মের মত বন্দী হইলাম, আমার জীবদ্দশাতে আর মুক্তি নাই । কয়েক দিবস নৌকার উপরে থাকা হইল। এক দিবস শুনিতে লাগিলাম, নৌকার সকল লোক বলিতে লাগিল, আজি আমরা বাট যাইব । তখন আমার মনে একবার উদয় হইল, বুঝি আমাদের বাটতেই যাইব, আবার ভয়ের সহিত কত প্রকার ভাবনা হইতে লাগিল, তাহার সংখ্যা নাই । এই প্রকারে যে কি ভাবনা হইতে লাগিল, তাহ পরমেশ্বরই জানেন, মুখে বলা বাহুল্য। তখন কেবল কান্নাটিই আমার সম্বল হইল, দিবারাত্র কান্নাতেই কালষাপন হইত । আহা ! জগদীশ্বর ! তোমার কি আশ্চর্য ঘটনা । তোমার নিয়মের শত শত ধন্যবাদ দিই । আত্মাধিক জননী এবং স্নেহপূর্ণ পরিবারগণ এ সকলকে ত্যাগ করাইয়া কোথা হইতে কোথায় আনিয়াছ। সেই দিবস রাত্রে নৌকা হইতে ঐ বাটীতে গিয়া দেখিতে লাগিলাম, কত প্রকার আমোদ আহলাদ হইতেছে, কত প্রকার লোক দেখিতে লাগিলাম, তাহার সংখ্যা নাই । তাহার মধ্যে একজন