পাতা:আমার জীবন.djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার জীবন રણજી লোকও আমাদের দেশের নয়, কাহাকেও আমি চিনি না, এজন্ত আমি কাদিতে লাগিলাম। আমার হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া যাইতে লাগিল । আমার এমন হইল যে, একচক্ষে শতধারে জল পড়িতে লাগিল । সকলে আমাকে সান্থনা করিতে লাগিলেন, কাদিও না, এই ঘর, এই সংসার, এই সকল লোকজন যা কিছু আছে সকলি তোমার । এখন এই বাটতেই থাকিতে হইবে, এই সংসারই করিতে হইবে, কি জন্ত কাদ, আর র্কাদিও না । সে সময় সেই সান্তনাবাক্যে প্রাণাধিক প্রিয়তম পিতৃগৃহের পরিবারদিগের আশায় নিরাশ হইয়া আমার মন এককালে শোকানলে দগ্ধীভূত হইয় গেল। যাহারা এ সকল বিষয়ে ভূক্তভোগী, তাহারা বোধ হয় এ প্রকার বাক্য বলিয়া সাৰনা করেন না । যেমন একজনের সস্তান বিয়োগ হইলে যদি কোন ব্যক্তি তাহাকে সান্তন করেন যে, ছি ছি! তুমি কাহার জন্য র্কাদ, ও যে তোমার কত জন্মের শত্রু ছিল, সে তোমার ছেলে ছিল না, তাহা হইলে এমন করিয়া যাইত না । এমন ডাকাতের নাম কি আর মুখে আনিতে আছে ? এইরূপ বলিয়া সান্থনা করিলে কি সান্তন হয় ? কখনই নহে । এরূপ ব্যাকুলতার সময়ে এ প্রকার সাস্তুনাতে মন কদাপিও শাস্ত হইতে পারে না । কেবল জ্বলন্ত অগ্নির উপরে তৃণরাশি দিলে আরো জ্বলিয় উঠে, সেইরূপ ঐ সকল সাস্বনা বাক্যে শোকসাগর উথলিয়া উঠে। ঐ সকল সাম্বন বাক্য শুনিয়া আমার প্রাণ আতঙ্কে উড়িয়া গেল। তখন আমার কোন সাধ্যই নাই, কোন উপায় নাই । কেবল মনে মনে পরমেশ্বরকে ডাকিতেছি । আর দুই চক্ষে বারিধারা ঝরিতেছে। তখন আমার শাশুড়ী ঠাকুরাণী আমাকে কোলে লইয়া মধুর বাক্যে সাস্বনা করিতে লাগিলেন, আহা ! পরমেশ্বরকে ধন্যবাদ দিই। একি অপূর্ব ঘটনা। কৌশলের বালাই লইয়৷ মরি। কোন গাছের বাকল কোন গাছে লাগিল । র্তাহার সেই কোল যেন আমার মায়ের কোলের মত ৰোধ হইতে লাগিল, তিনি যেরূপ স্নেহের সহিত কথা কহিতে লাগিলেন, তাহাতে