পাতা:আমার জীবন.djvu/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રજી আমার জীবন মেয়েকে কত গালি দেয় এবং মায়ে কত মারিয়াও থাকে ; মারা দূরে থাকুক, পরমেশ্বরের ইচ্ছায় আমাকে কেহ বড় করিয়া কথাও বলে নাই, ফলতঃ আমার বড় সোহাগ ছিল । পরে নূতন জায়গায় গিয়া নূতন বোঁ হইলাম, এখানেও আমার আদরের ক্রটি হয় নাই ; বৌ হইয়া আমার সোহাগের কিছুমাত্র হ্রাস হয় নাই, বরং ক্রমেই আরও বৃদ্ধি হইতে লাগিল । * আমার শাশুড়ী ঠাকুরাণী আমার খেলার জন্য কত প্রকার জিনিস আনিয়া দিতেন । আর ঐ গ্রামের সকল বালিকাদিগকে ডাকিয় আমার নিকট আনিয়া দিতেন । ঐ বালিকাগণ খেলা করিত, আমি বসিয়া দেখিতাম ; ঐ প্রকারে কতক দিবস গত হইয়াছে । তখনও আমি গোপনে গোপনে কাদিতাম বটে, কিন্তু র্তাহীদের নিকট সকল দিন থাকিতে থাকিতে র্তাহাদের পোষা পাখী হইয়া তাহাদেরি শরণাগত হইলাম । বাল্যকালের সকল কথাই আমার যেন ছাইমাটির মত বোধ হয়, যাহা হউক আমি তো লিখিয়া বসিলাম । হে পিতা দয়াময় । তুমি তো নিকটেই আছ, এবং মনেই আছ, তবে কেন মনে নানা প্রকরে বৈকল্য উপস্থিত হয়, বুঝিতে পারি না । যেখানে পিতা দয়াময়, সেখানে আবার কিসের ভয় । যেখানে আছ তুমি পিতা, সেখানে আবার ভয়ে ভীতা । যেখানে তোমার নাম সম্বল, সেখানে কিসের অমঙ্গল । যেখানে তোমার নামের ধ্বনি, সেখানে কি ভূত পেতিনী। যেখানে তোমার নামামৃত, সেখানে সব হয় অমৃত । ঐ বাটতে নয় জন চাকরাণী ছিল, তাহার মধ্যে ঘল্পের কাজ করা চাকরাণী এক জন, আর আট জন বাহিরের লোক, তাহারা বাহিরে