পাতা:আমার জীবন.djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার জীবন ●ፃ আমার যে কল্য খাওয়া মোটেই হয় নাই তাহ কেহ জানে না । আমি সকল লোকের খাওয়া হইয়া গেলে পর খাইব ভাবিয়াছিলাম, কিন্তু কোলের ছেলেটিকে একটি লোকে রাখিয়াছে । তখন তাহাকেও থাইতে দিতে হয়, ছেলেটিকেও দুধ খাওয়াইতে হয় স্বতরাং ঐ ছেলেটিকে ভাত দিয়া ছেলে কোলে লইয়া আমি ভাত খাইতে বসিলাম । বসা মাত্রেই ছেলেটি কোলের মধ্যে হাগিয়া দিল । তখন ঐ ছেলে কোলে থাকিয় ঐ ভাতের উপর এত প্রস্রাব করিল যে, সমুদয় ভাত এককালে ভাসিয়া চলিল। পরমেশ্বরের ঐ কাগু দেখিয়া আমি হাসিতে লাগিলাম । আমি যে দুই দিবস ভাত খাই নাই, একথা আর কাহারও নিকট প্রকাশ করিলাম না, আমার মনে মনেই থাকিল । বিশেষতঃ আপনার খাওয়ার কথা সকল লোকে শুনিবে, সেটি ভারি লজ্জার বিষয়। ও সকল কথা আমি কাহারও নিকট বলিতাম না ও কেহ জানিত না । এই প্রকারে মাঝে মাঝে কত দিবস আমার খাওয়া হইত না । পরমেশ্বরের কৃপায় আমার শরীরে রোগ-পীড় বড় ছিল না । আমি যদি চিররোগী হইতাম, তাহা হইলে আমার এই কয়েকটি সস্তান প্রতিপালিত হওয়া কঠিন হইত। হে জগদীশ্বর ! তোমার অসীম মহিমার কে সীমা নিরূপণ করিবে! এই অধিনী কন্যার প্রতি তোমার কত দয়া প্রকাশ পাইতেছে, তাহা ভাবিলে মন এককালে অধৈর্য ও অবশ হইয় পড়ে। তোমার এ অজ্ঞান সন্তান তোমার মাহাত্ম্য কিছুই জানে না । তবে যে এ অধীন কায়মনোবাক্যে তখন তোমাকে ডাকিত সে কেবল জননীর অনুমতিক্রমে মাত্র । এজন্য আমার জন্ম ধন্ত, আমার জীবন ধন্ত, আমি আপনাকে আপনি কৃতার্থ বোধ করি । , হে পিতা করুণাময়! আমি নিতান্ত হতভাগিনী, তোমাকে চিনি না। তুমি যদি আমার সঙ্গে না থাকিতে, আর আমার এই শরীর রোগাচ্ছন্ন হইয়া থাকিত, তবে আমার সন্তান পালন করা দূরে থাকুক, আমি আপনার শরীর লইয়া কি যে করিতাম বলিতে পারি না,