পাতা:আমার জীবন.djvu/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8૨ আমার জীবন থাকিতে পারে । কিন্তু থাকা না থাকা আমার পক্ষে সমান কথা ; আমি কিছু লেখাপড়া জানি না, সুতরাং পুথি চিনিতে পারিব না, এই ভাবিয়া মনে মনে বলিতে লাগিলাম, হে দীননাথ ! আমি কল্য স্বপ্নে যে পুস্তকখানি পড়িয়াছি, তুমি ঐ পুস্তকখানি আমাকে চিনাইয়া দাও । ঐ চৈতন্য-ভাগবত পুস্তকখানি আমাকে দিতেই হইবে, তুমি ন দিলে আর কাহাকে বলিব । আমি এই প্রকার মনে মনে বলিতেছি, আর পরমেশ্বরকে ডাকিতেছি । আহা কি আশ্চর্য ! দয়াময়ের কি অপরূপ দয়ার প্রভাব ! আমি যেমন মনে মনে এই সকল চিন্তা করিতেছিলাম, অমনি তিনি শুনিয়া আমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিলেন । তখন আমার বড় ছেলেটি আট বৎসর বয়স্ক । আমি পাকের ঘরে পাক করিতেছি, ইতিমধ্যে কর্তা আসিয়া ঐ ছেলেটিকে ডাকিয়া বলিলেন, বিপিন ! আমার চৈতন্যভাগবত পুস্তকখানি এখানে থাকিল, আমি যখন তোমাকে লইয়। যাইতে বলিৰ, তথন তুমি লইয়া যাইও । এই বলিয়া ঐ চৈতন্যভাগবত পুস্তকখানি ওখানে রাখিয়া, তিনি বাহির বাটতে গেলেন । আমি পাকের ঘরে থাকিয় ঐ কথাটি শুনিলাম । তখন আমার মনে যে কি পর্যন্ত আহলাদ হইল, তাহ বলা যায় না । আমি অতিশয় পুলকিত মনে তাড়াতাড়ি গিয়া দেখিলাম, সেই চৈতন্যভাগবত পুস্তকখানি বিদ্যমান। আমি ভারি সন্তুষ্ট হইয়া মনে মনে বলিতে লাগিলাম, পরমেশ্বর ! তুমি আমার মনস্কামনা সিদ্ধ করিয়াছ । এই বলিয়া আমি ঐ পুস্তক খুলিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া বেশ করিয়া দেখিলাম। এখনকার পুস্তক সকল যে প্রকার, সে কালে এ প্রকার পুস্তক ছিল না । সে সকল পুস্তকে কাঠের আড়িয়া লাগান থাকিত । তাহাতে নানাপ্রকার চিত্র-বিচিত্র ছবি আঁকাইয়। রাখিত । আমি তো লিখিতে পড়িতে জানি না, কিরূপে ঐ পুস্তক চিনিব ? আমি কেবল ঐ চিত্র পুত্তলিকা দেখিয়া ঠিক করিয়। রাখিলাম । পরে পুস্তকখানি ঘরের মধ্যে রাখিলে আমি ঐ পুস্তক খুলিয়া একটি পাত লুকাইয়। রাখিলাম। সে পাতটি কোথা রাখিব, কেহ