পাতা:আমার জীবন.djvu/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 전 } আমি কাহাবও নিকট বলিল না, আমি সকল বালিকাকে ভয় কবিতাম, এজন্য গোপনে গোপনে সকলে আমায মাবিত।” একদিন একটি সঙ্গিণী-বালিকা বাসস্কন্দবীব ছেলে সাজিয়া তাহাঁকে ঠকাইযা তাহার সমস্ত ফল ও জলপান খাইয়া ফেলিল এবং বলিল, “আমাকে আঁচাইষা দাও।” জল না পাওয়াতে সে সঙ্গিনীব আদেশ পালন কবিতে পাবিল না—“আমাব সঙ্গিনী এই অপবাধে আমাকে একটি চড মাবিল, আমি মাব খাইযা ভযে কঁাপিতে লাগিলাম। আমাব দুই চক্ষে জল পডিতে লাগিল। এই সমযে আমাব খেলাব সাগী আব একটি বালিকা সেইস্থানে ছিল, সে উহাকে বলিল,—তুমি কেমন মেয়ে, উহাব সকল জলপান খাইযা ফেলিলে, আমি দুটাও খাইলে, আবাব উহাকে কান্দাইতেছ ? আমি গিযে উহাব মায়েব কাছে বলিষা দিই।” এই কথা শুনিষ বালিকা আবও বিচলিত হইয়া পডিল। এই সকল বালস্থলভ শত শত অকথাব মধ্যে বাসস্থদবীব যে মূর্তিটি চিত্রিত হইযাছে, তাহা চিবসহিষ্ণু, ক্ষমাশীল বঙ্গমহিলাবই আদত ছবি । রাসমৃদবী পবমাসুন্দবী ছিলেন, অষ্টাশী বৎসব ব্যসে তাহ জানাইতে তিনি কোন সঙ্কোচবোধ কবেন নাই । বাসস্থদবী নিজেব দোযেব অংশ বাদ দিয়া শুধু গুণেব ভাগ দেখাইযা যান নাই। তিনি পুস্তকেব এক স্থানে ভগবানেব নিকট প্রার্থনা কবিতেছেন—“আমি যদি আপনাব নিন্দিত কর্ম বলিষ কিছু গোপন কবিয থাকি তাহা তুমি প্রকাশ কবিয়া দাও। অমাব যে কথা স্মবণ না থাকে তাহা তুমি আমাকে স্মবণ করাইয়া দাও । আমি যে প্রবঞ্চনা কবিষ, কোন কর্ম কবিব বা, কথা বলিব, এমন চেষ্টা আমাব কখনই নাই ।” শৈশবে সকলে তাঁহাকে বোকা-মেয়ে বলিযা ডাকিত । বস্তুত পচিশ বৎসব বয়সেও তিনি এমন সকল কার্য কবিয়াছেন, যাহাতে আমাদের হাস্তেব উদ্রেক করে—সে সকল কথা তিনি অকপটে লিখিয়া গিয়াছেন। একদিন নদীতীরে দুইটি ভাই সহ বালিকা বড় বিপন্ন হইয়াছিল , মাতা শিখাইধাছিলেন, “বিপদে পড়িলে দয়ামাধবকে ডাকিও।” দয়ামাধব সেই বাড়ীর স্থাপিত বিগ্রহ । সেইদিন আর্ত হইয়া বালিকা বলিল, ‘দাদা দয়ামাধবকে ডাক ।” তখন আমরা তিনজনে দয়ামাধব । দয়ামাধব । বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে ডাকিতে লাগিলাম। সেই সময়ে জনৈক পথিক তাহাদিগের চীৎকার শুনিয়া দয়াপূর্বক তাহাদিগকে বাড়ীতে পৌছাইয়া দেয়। পরদিন বালিকা কথাপ্রসঙ্গে ছোট ভাইকে বলিল, “ই, দয়ামাধব আমাদের কোলে কবিয়া বাড়ীতে অনিয়াছেন” । ইহা শুনিয়! আমার ছোট ভাই বলিল—ছি। দিদি কি বলিলে? দয়ামাধব কি মানুষ, দয়ামাধবের মুখে কি