পাতা:আমার জীবন.djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার জীবন も● তো আমি লেখাপড়া কিছুই জানিতাম না, ডাহা আমাকে কে শিখাইয়াছে । যিনি সদয় হইয়া দয়া করিয়া আমাকে এত দিয়াছেন, র্তাহার যদি কৃপা থাকে, তবে ও পুস্তকও আমি অনায়াসে পড়িতে পারিব । এই ভাবিয়া কাপ্পা সম্বরণ করিয়া মনঃস্থির করিলাম, পরে ঐ পুস্তক পড়িতে আরম্ভ করিলাম। কিন্তু পরমেশ্বরের অনুগ্রহে ঐ ছাপার অক্ষর অতি অল্প দিবসের মধ্যেই আমার বেশ পড়া চলিতে লাগিল । পরে আমি ভাবিয়াছিলাম, এ ছাপার লেখা, এ লেখা বুঝি আমি পড়িতে পারিব না। পরে দেখিলাম, সে কালের হাতের লেখার অপেক্ষ ছাপার অক্ষরই উত্তম । আমি যেমন অল্প জানি, তাহাতে আমার পক্ষে ছাপার লেখাই ভাল। তদবপি আমি সকল প্রকারের অক্ষরই কিছু কিছু পড়িতে পারিতাম । কিন্তু লেখার বিষয়ে আমি কখনও মনোযোগ করি নাই, এজন্য লিখিতেও জানি না ; মধ্যে মধ্যে এই কথাটি আমার মনে বিষম যন্ত্রণাদায়ক হইত। আমি সর্বদা পরমেশ্বরের নিকটে এই বলিয়া রোদন করতাম, হে পরমেশ্বর ! তুমি আমাকে সকল বিষয়ে প্রায় এক মত ভালই রাখিয়াছ। সংসারের বিষয়ে লোকের যাহা যাহ আবশুক, আমাকে তাহা তুমি কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ সকলই দিয়াছ। কিন্তু এই কথাটি আমার মনে ভারি আক্ষেপের বিষয় যে, আমি লিখিতে জানি না । তুমি আমাকে লিখিতে শিখাওঁ । পরমেশ্বরের নিকট দিব|রাত্র এই বলিয়া কাদিতাম । এই অবস্থায় আমার অনেক দিবস গত হইয়াছে । আমি যে আর লিখিতে শিখিব, আমার মনে এমন ভরসাও ছিল না । পরমেশ্বরের ইচ্ছায় দৈবাৎ এক দিবস আমার সপ্তম পুত্র কিশোরীলাল বলিল, মা ! আমরা যে পত্র লিখিয়া থাকি, তাহার উত্তর পাই না কেন ? আমি বলিলাম, আমি পড়িতে পারি, এজস্ব তোমাদের পত্র পড়িয়া থাকি। আমি তো লিখিতে জানি না, সেজন্ত উত্তর দেওয়া হয় না । তখন সে বলিঙ্গ, মা ! ও কথা আমি শুনি না, মায়ের পত্রের উত্তর না পাইলে কি বিদেশে থাকা স্বায়। পত্রের উত্তর দিতেই फैौवन-*