পাতা:আমার জীবন.djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆల श्रांगांद्र खैौरान হইবে । এই বলিয়া কাগজ, কলম, দোয়াত, কালি সমুদয় সংগ্রহ করিয়া আমাকে দিয়া সে কলিকাতায় পড়িতে চলিল। আমি বড় বিপদেই পড়িলাম ; আমি মোটেই লিখিতে পারি না, কেমন করিয়াই ব। লিখিব । আমি যে একটু একটু পড়িতে পারি, তাহা হাতে লিখিতে পারি না। তবে যদি অনেক চেষ্টায় দুই এক অক্ষর যেমন তেমন করিয়া লেখা যায়, সংসারের কাজের জন্য লিখিতে অবকাশ পাওয়া যায় না ! ছেলেও বার বার মাথার দিব্য দিয়া বলিয়া গিয়াছে উত্তর না দিলেই চলিবে না । আমি ভাবিতে লাগিলাম কি করিব, একি দায় আমার যে বিষম সঙ্কট হইল । এই প্রকার ভাবিতেছি ; ইতিমধ্যে হঠাৎ এক দিবস কর্তাটির সান্ত্রিপাতিকের পীড়া হইয়া চক্ষের পীড়া দেখা দিল । তখন ঐ চক্ষের চিকিৎসা করিতে কর্তাটি গোয়াড়ী কৃষ্ণনগর গেলেন । সে সঙ্গে আমাকেও যাইতে হইল। আমার পঞ্চম পুত্র দ্বারকানাথের বিষয়কর্মের স্থান কঁঠালপোতা, আমাদের সেই বাসাতে থাকা হইল । সেই স্থানে আমাদিগের ছয় মাস থাকিতেও হইল । তখন বাটীর অপেক্ষা আমার কাজের অনেক লাঘব হইল । সেই অবকাশে যৎকিঞ্চিৎ লেখা আমার হস্তগত হইল । আমার লেখাপড় বড় সহজ কষ্টে হয় নাই, যাকে বলে কষ্ট । সে লেখাপড়ার কথা আমার মনে উদয় হইলে ভারী আশ্চর্য বোধ হয় । আমাকে যেন পরমেশ্বর নিজে হাতে ধরিয়া শিখাইয়াছেন। নতুবা এমন অবস্থায় লেখাপড়া কোন মতে সম্ভব না । যাহা হউক, আমি যে এক-আধটি অক্ষর শিখিতে পারিয়াছি, তাহাতেই আমার পরম সৌভাগ্য। বোধ হয়, এরূপ একটু না জানিলে, আমি তো সম্পূর্ণ পরের মুখের দিকে তাকাইয়া থাকিতাম, তাহার সন্দেহ নাই। এ নিজস্ব পরমেশ্বর আমাকে যাহা দিয়াছেন, আমি তাহাতেই সন্তুষ্ট আছি । তিনি আমার প্রতি এত দয়া করিয়াও ক্ষাস্ত হন নাই । আর দিবারাত্র সম্পদে বিপদে আমার সঙ্গে সঙ্গে থাকিয়া রক্ষণাবেক্ষণ করিতেছেন । আহা! যিনি এমন পরম বন্ধু, এমন প্রাণের স্বহৃদ, আমি এমন