পাতা:আমার জীবন.djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার জীবন 切*。 शृङ्का-कछन। এই পৃথিবীতে যত লোক দেখিতেছি, তাহার অধিকাংশ লোকেই মৃত্যুর নামে অতিশয় ভয় পাইয়া থাকে। কিন্তু বিবেচনা করিয়া দেখিলে ভয়ের কারণ কিছুই নাই। লোকে না বুঝিতে পারিয়া মৃত্যুর আশঙ্কায় সর্বদা সশঙ্কিত থাকে। মৃত্যুতে যে কিছুমাত্র ভয় নাই, আমি তাহ বিলক্ষণরূপে প্রত্যক্ষ দেখিয়াছি । আমি তাহা এ জন্মে আর ভুলিব না । এক দিবস আমার জর হইয়া নিতান্তই কাহিল হইয়া পড়িয়াছি। এমন কাহিল হইয়াছি যে, এককালে আমার যেন আসন্নকাল উপস্থিত হইয়াছে। আমি একখানা চৌকীর উপর শুইয়া রহিয়াছি । ইতিমধ্যে আমার এককালে শরীর যেন অবশ হইয়া গেল। তখন আমি মনে মনে করিলাম, আমি খাটের উপর হইতে নীচে নামিয়া শুই । কিন্তু আমার হাত পা এমন অবশ হইয়াছে যে, আমি কত প্রকার চেষ্টা পাইলাম, কোন মতে নড়িতে পারিলাম না। আমি কিছুমাত্র অজ্ঞান হই নাই । আমার মনের মধ্যে সকল কথা জুটিতেছে, কিন্তু মুখে কিছু বলিতে পারিতেছি না। আমার জিহ্বা এককালে অবশ। তখন আমার সকল ছেলেই প্রায় ছোট ছোট, কেবল ছুইটি ছেলে একটু বড় । সেই দুটি ছেলে আমার দুই পাশে বসিয়া মা মা বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে ডাকিতেছে, আর কাদিতেছে । আমি অজ্ঞান হই নাই, একবার ভাবিতেছি, ছেলেরা কাদিতেছে, আমি উত্তর দিই না কেন ? কিন্তু আমার জিহবা অবশ হইয়াছে, কথা কহিতে পারিলাম না । মনে মনে সকল কথাই বলিতেছি কিন্তু কাজে কিছুই হইতেছে না। আমার দক্ষিণ-দ্বার ঘরে খাটের উপর গুইয়াছিলাম, চক্ষু মেলিয়া তাকাইয়া দেখিলাম, ঘরদ্বার সকল লালবর্ণ হইয়াছে। এই প্রকার কিছুক্ষণ পরে, আমি আর কিছুই দেখিতে পাইলাম না, সকলই একেবারে অন্ধকারময় হইল। তখন আমি চক্ষু বড় বড় করিয়া তাকাইলাম, সকলে গেল, গেল বলিয়া আমাকে ধরিয়া বাহিরে লইয়া গেল। ঐ সময়ে আমার কি প্রকার হইল, তাহা আমি বুঝিতে পারিলাম না ।