পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిసి 6 আমার বোম্বাই প্রবাস টাটা টাট্র মুসলমান আমলে দক্ষিণসিন্ধুর প্রধান সহর ছিল। এক সময় সিন্ধুনদী ইহার প্রাচীর দিয়া বহিয়া যাইত এবং যে বাণিজ্য এক্ষণে করাচীর ভোগে আসিতেছে সিন্ধু তাহা ইহারই দ্বারে অনিয়া ঢালিয়া দিত। এইক্ষণে নদী প্রায় তিন মাইল দূরে চলিয়া গিয়াছে। ১৫২২ সালে এই নগব নির্ম্মিত হয় ও ১৭৪২ সালে যখন নাদির স৷ তথায় পদার্পণ কবেন তখন সেখানে ৪০,০০০ ঘব বাড়া, ৬ ০০ ০ বণিক সৌদাগর ও ২০০০ অপর শিল্পী বাস কবে এইরূপ বর্ণনা আছে । হাইদ্রাবাদ হাইদ্রাবাদ টাট্টার উত্তরাধিকারী মধ্যসিন্ধুর রাজধানী। ইহা প্রাচীন হিন্দুনগর নীরণ কোটের স্থান অধিকার কবিয়া আছে এবং ১৭৫৮ অব্দে গোলাম দা কাহেলার ইহার পত্তন কবেন । হাইদ্রাবাদ তালপুর আমীরদের সাধের আবাস ছিল, নদী হইতে তাহদের শিকার-বনে যাতায়াতের সুবিধা তাহার এক কাবণ। দুর্গের মধ্যে তাহীদের যে সমস্ত সুসজ্জিত বাসগৃহ ছিল তাহ এইক্ষণে প্রায় সকলি বিলুপ্ত হইয়াছে, মীর নসীব খাব প্রাসাদ মাত্র অবশিষ্ট আছে। নিজ সং রে কতকগুলি মাটির ঘর বাড়ী, দেখিবার মত ইমাবত অট্টালিকা কিছুই নাই। দুর্গই ইহার শোভন দুখ, সিন্ধুশাখা ফুলেলী তাহার প্রাচীরের পাশ দিয়া বহিয়া যাইতেছে। সহবের প্রান্তে কহেলারা ও তালপুর আমীরদের কতকগুলি সমাধিমন্দির আছে তাহ অতীব মনোহর। সহর হইতে নদী কয়েক মাইল দূৰ । সিন্ধুতীবে গিধুৰন্দব, বন্দব পর্য্যন্ত এক সুন্দর প্রশস্ত রাস্তা গিয়াছে তাহাই হাইদ্রাবাদের রাজপথ। এই সহর রেশম ও জরির কাপড়, স্বক্ষ মিনার কাজ ও অন্তপ্রকাব কারুকার্য্যেব জন্ত সুবিখ্যাত । উত্তর-সিন্ধু উত্তর-সিন্ধু দক্ষিণভাগ হইতে অনেক তফাৎ। হাইদ্রাবাদের উত্তরে আর সমুদ্র বায়ু সেবন করা যায় না ; গ্রীষ্মকালে বায়ু বন্ধ ইষ্টয়া ঐ অঞ্চল উত্তাপকুণ্ডে পরিণত হয়। আট নয় মাসব্যাপী গ্রীষ্মকাল-বর্ষ নাই বলিলেই হয়—কখন একটু মেঘ কিম্বা দুচার ফোটা বৃষ্টি এইমাত্র। শীতকালে আবার তেমনি ঠাণ্ড, গ্রীষ্মের যে প্রচণ্ড উত্তাপ সেই ঠাণ্ডায় তার ক্ষতিপূৰণ হয়। মাঝে মাঝে মরুদেশের প্রবল বালুময় ঝড় উঠিয় প্রকৃতিরাজ্য তোলপাড় করিয়া তুলে। সিন্ধু নদী যেখান দিয়া গিয়াছে তাহার আশ পাশের ভূমি ফলবতী ; নদী হইতে যতদূরে যাওয়া যায় ততই বালুময় মরুভূমি স্বীয় উগ্রমূর্ত্তি প্রকাশ করিতে থাকে।