পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/১৬৩

४२७ আমার বোম্বাই প্রবাস য়া সকলি উলট পালটু করিয়া ੇ রাষ্ট্রবিপ্লবের মধ্যে ব্রিটিষ ধূমকেতু অকস্মাৎ উদয় হ দিল । ইংরাজ শাসন আরম্ভ হইবার পূর্ব্বে যে দুই রাজবংশ সিংহাসন অধিকার করেন তাহা কহেলাব ও তালপুর । অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে কহুেলার রাজবংশের পত্তন ও প্রায় অশাতি বৎসর ঐ বংশের রাজত্বকাল । ১৭৮০ কিম্বা তার দুই এক বৎসর BB BBBBBBB BBBB BBBBB BBBSBBBBB BBBB BBB BBBB BB হন । ইংরাজদেব দেশাধিকাৰ কালে এই তামাবদেব আধিপত্য ছিল । তালপুর বংশের মুলপুরুষ ফতে আলি খা, তিনি বংশের গোঁবৰবৰ্দ্ধন ও কলহবিদ্রোহ নিবারণ আশয়ে স্বীয় ভ্রাতৃগণসহ একত্রে রাজ্যশাসনের স্থত্রপাত কবেন, তাহারা চার ভাইয়ে মিলিয়া এক মতে এক চিত্তে এমনি সুশৃঙ্খলাপূর্ব্বক রাজকার্য্য করিতেন যে ‘চার ইয়ার’ বলিয়। র্তাহীদের নাম রাষ্ট্র । ক্রমে তালপুর বংশের স্বতন্ত্র তিন শাখার সৃষ্টি হইল— হাইদ্রাবাদ, মীরপুর, খয়ের পুর—তিন আমীরের তিন রাজ্য-বিভাগ । আসিয়ার শান্তি আফগান যুদ্ধাবসানের পর লর্ড এলেনবরা সিমলা হইতে অজ্ঞাপত্র প্রচার করিলেন যে, ভারতীয় গবর্ণমেণ্ট প্রকৃতিনির্দিষ্ট রাজ্যসীমায় সন্তুষ্ট থাকিয়া এইক্ষণ অবধি শাস্তিস্থাপন ও রাজ্যরক্ষণে একান্ত যত্নবান হইবেন। এই অভি প্রয়ে "আসিয়াব শান্তি” চিহ্নিত এক মেডাল বাহির হইল। কিন্তু ফলে ইহাব বিপরীত ঘটনা ঘটিল। ইহার ছয় মাসের মধ্যেই সিন্ধু দেশ ব্রিটিষ রাজ্যভূক্ত বলির দ্বিতীয় ঘোষণাপত্র জারী হইল । পূর্ব্বোল্লিখিত প্রকারে সিন্ধু দেশ তখন তিন রাজ্যে বিভক্ত--উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্যসিন্ধু ; প্রত্যেক রাজ্যের এক একজন আমীর অধিস্বামী । ১৮৩৯ সালে ব্রিটিৰ গবর্ণমেন্ট ও আমারদের মধ্যে এক সন্ধিবন্ধন হয়। এই সন্ধিস্থত্রে ইংবাজের সিন্ধু দেশে প্রবেশ লাভ করেন । এই সন্ধি যদিও আমীরদের মনঃপূত হয় নাই কিন্তু কি করেন, দায়ে পড়িয়া ব্রিটিষ যুপে গ্রীবা অবনত করিতে হইল। আফগান যুদ্ধের তিন বৎসর তানীরদের আচরণে দোষ ধরিবার কিছুই ছিল না। দেশের মধ্য হইতে ব্রিটিষ সৈন্ত চলাচলের পথ উন্মুক্ত রাখা- জাহাজে খোরাক যোগান কিছুতেই র্তাহীদের কোন ক্রটি হয় নাই। General Nott কাবুল প্রয়াণ কালে সিন্ধু হইতে তিন সহস্র উটের সাহায্য লাভ করেন । ইহা সত্ত্বেও কোন কোন আমীর ইংরাজদের পরাজয় দেখিয়া দাত দেখাইতে সাহস করিয়াছিলেন। এই ছুত ধরিয়া তখনকার এজেণ্ট Major Outram আনীরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থিত করিয়া সন্ধিপত্রের