পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২০৩

弩登8 আমার বোম্বাই প্রবাস করেন । তথায় রাজমন্ত্রী মহম্মদ গওয়ানের অনুগ্রহে সৈনিকপদে নিযুক্ত হয়েন। সত্বর র্তাহার পদোন্নতি হইল। বিদূর হইতে বস্থাডে গিয়া তিনি ১৫০০ অশ্বের অশ্বপতি ও ' আদিল খ আখ্যা প্রাপ্ত হইলেন। অনস্তর মহম্মদ গওয়ান তাহাকে দৌলতাবাদের গবর্ণর নিযুক্ত করেন। মহম্মদের মৃত্যুর পর বিজাপুরে বাহমণী রাজার অধীনে তাহার কর্ম্ম হয়। ১৪৮৯ অব্দে তিনি অধীনতা-বসন পরিত্যাগপূর্ব্বক রাজপদবী গ্রহণ ও বিজাপুরে স্বীয় রাজ্য স্থাপন করিলেন। ১৪৯৮ অব্দে দক্ষিণ সুলতানের বাহমণী রাজ্য আপনাদের মধ্যে বিভাগ করিয়া লন, তখন গোওয়া ও তৎসমীপবর্ত্তী প্রদেশ য়ুসফের ভাগে আইসে। যখন ভাস্কো-ডি-গামা ভারতবর্ষের নূতন পথ আবিষ্কারপূর্বক কর্ণাটকতীরে আবির্ভূত হন, তখন ফুসফ বিজাপুরের অধীশ্বর। পোর্ক্সীদের সঙ্গে গোওয়া লইয়া তাহার অনেক যুদ্ধ হয়। ১৫১৯ খৃষ্টাব্দে পো গসদের রাজপ্রতিনিধি আল কর্ক বিজাপুর বিপক্ষে বিজয়নগর রাজার সহিত সন্ধিবন্ধন করেন। পর বৎসরে আলবুকর্কের হস্তে বিজাপুর সৈন্তের পরাভব হওয়ায় গোওয়ায় পোর্জীদ রাজ্য সংস্থাপিত হয়। বিজাপুরে দুই শত বৎসরের মধ্যে নয়জন রাজা সিংহাসনে উপবিষ্ট হন ; কিন্তু BBB BBB BBBB BBBB BBBB BB S BB BB BBBBBBBB BBD নছে। ঘোর উপদ্রব—তুমুল বিপ্লব - গভীর অশাস্তির মধ্যে র্তাহীদের রাজত্ব করিতে হইত। হয় বৈরী নির্য্যাতনের চেষ্টা, নয় শক্র হইতে আত্মরক্ষার উপায় চিন্তন-ইহাতেই তাহাদের দিন কাটিয়া যাইত। সিয়া ও স্বনী মুসলমানে যুদ্ধ—প্রতিবাসী স্থলতানদের সহিত যুদ্ধ-বিজয়নগরের হিন্দু রাজাদের সহিত যুদ্ধ – মোগলের সহিত যুদ্ধ—এই সকল যুদ্ধবিগ্রহের মধ্যে বিজাপুর রাজার কথন যে রাজ্যশাসনে রাজ্যের উন্নতি ও শ্রীবৃদ্ধি সাধনের অবকাশ পাইতেন তাঙ্গ ভাবিয়া ওঠা যায় না । য়ুসফ আদিল সা পারস্তে বাস ও শিক্ষালাভ করিয়া সিয়া ধর্ম্মে অমুরক্ত হইয়াছিলেন। স্বীয় রাজ্যে সিয়া মত সংস্থাপন করিতে গিয়া দেখিলেন যে ব্যাপারটা নিতান্ত সহজ নয়। তাহার সেনাদের মধ্যে তুর্কজাতীয় অনেক সুন্নী মুসলমান ছিল, আর প্রতিবাসী সুলতানেরাও এই নুতন মতের প্রতিপোষক ছিলেন না। এই স্বত্রে যে যুদ্ধ ঘটনা হয় তাহ দক্ষিণাত্যের ধর্ম্মযুদ্ধ নামে অভিহিত । আহমদনগর, গোলকুণ্ড, বিদুরের মুলতানগণ র্তাহার বিরুদ্ধে ধর্ম্মযুদ্ধে অস্ত্রধারণ করিলে পর য়ুসফ অনেক কষ্টে এই ষড়যন্ত্র ভেদ করিয়া পার পাইলেন । ভাগ্যক্রমে তিনি তেমন গোড়া সিয়া ছিলেন ন-স্বরাজ্যে সিয়া মত সংস্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে সুন্নীদের ধর্ম্মানুষ্ঠানে হম্পক্ষেপ নিষেধ করিলেন । ধর্ম্মবিষয়ে তাহার উদার মত ছিল । তিনি বলিতেন, “যেমন স্বর্গের নানা নিকেতন, তেমনি ইসলামের নানা সম্প্রদায়।” হিন্দুদের উপর তাহার বিশেষ মমতা ছিল,