পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার বোম্বাই প্রবাস وقوف وا ইচ্ছামতে সহরের উত্তর পূর্ব্বে আপন গুরুর গোরের সন্নিকটে এক সামান্ত গোরস্থানে র্তাহার সমাধিক্রিয়া সম্পন্ন হয় । জীবদ্দশার অনুরূপই তাহার চরমগতি। তঁহার প্রবল- ' প্রতাপ পূর্ব্বপুরুষদের সমুন্নত সমাধি মন্দির সকল সগর্ব্বে মস্তক উত্তোলন করিয়া দণ্ডায়মান, আর আদলসাহী বংশের শেষ রাজা হতভাগ্য সেকন্দরের মৃতদেহোপরি অন্ত্যেষ্টির চিহ্নস্বরূপ একটি প্রস্তর খণ্ডও দৃষ্ট হয় না। এই সময় হইতে স্বতন্ত্র রাজ্য বলিয়৷ বিজাপুবের নাম ইতিহাসের পৃষ্ঠা হইতে অপনোদিত হইল, এই যে তাহার ভাগ্যলক্ষ্মী ছাড়িয়া গেল আর ফিরিল না। ঔরঙ্গজেব তাহাকে পুনর্জীবিত করিতে বিস্তর প্রয়াস পাইয়াছিলেন। বিজাপুর সৈনিকদের আশ্রয় দান, আমীর ওমরাওদের মানমর্য্যাদা রক্ষণ, ভূমি সম্পত্তি ও বিবিধ ইনাম দানে প্রজাদের মনোরঞ্জন, বসতি বিস্তারের উত্তেজন ইত্যাদি নানা উপায় অবলম্বিত হইল কিন্তু কিছুতেই কিছু হইল না। ভাঙ্গ যেমন সহজ, গড় তেমন সহজ নয়। স্বাধীনতা নষ্ট হইয় অবধি সহরের জীবন বিনষ্ট হইল, তাহার শ্রীসম্পদ চলিয়া গেল। মানুষের অত্যাচারের উপর আবার প্রকৃতির উপদ্রব। ঔরঙ্গজেব থাকিতে থাকিতেই এমন এক ভয়ঙ্কর মহামারী উপস্থিত হইল যে তাহাতে লক্ষাধিক লোক মারা পড়ে ও অনেকে সহর ছাড়িয়া পালায় । ঔরঙ্গজেবের মহিষীও এই মড়কের গ্রাসে পতিত হইয়া প্রাণত্যাগ করেন। তাহার গোরের কথা পূর্ব্বেষ্ট উল্লেখ করা গিয়াছে। মড়ক থামিয় গেলে সম্রাটের আদেশে জনসংখ্যা গণনা করিয়া দেখা গেল যে লোকসংখ্যা সর্ব্বমুদ্ধ দশ লাখের কিছু কম ; মাহমুদ আদিল সার রাজত্বকালে বিজাপুর ও তৎপ্রান্তবর্তী সাহাপুর মিলিয়া যে লোকসংখ্যা নির্ণীত হয় তদপেক্ষা প্রায় ১০ লক্ষ ১৬ হাজার লোক কমিয়া গিয়াছে। মোগল হইতে মারাঠীদের হস্তে পড়িয়া বিজাপুর দিন দিন আরো অবসাদহিমে মান হইতে লাগিল। মোগলদের সময় তাহার ক্রসৌভাগের যাহা কিছু অবশিষ্ট ছিল বর্গীদের অত্যাচারে তাহাও ক্রমে লোপ পাইল । পেশোয়ার অধিকার গিয়া সাতারা রাজাদের আমল আরম্ভ। সাতারার শেষ রাজ সহাজী। ১৮৪৮ খৃষ্টাব্দে সাহাজী অপুত্রক মরণানন্তর ইংরাজের সাতারা আত্মসাৎ করেন, সেই সঙ্গে বিজাপুরও ইংরাজরাজ্যে भिनिऊ इहें ज । এই বিখ্যাত প্রাচীন সহর এইক্ষণে নব্য ইংরাজ মহলে পরিণত হইয়াছে। জিলায় রাজধানী হইয়া বিজাপুরের ঐ ফিরিয়াছে, তাহার পাশ দিয়া লোহপথ মুক্ত হওয়াতে বাণিজ্য ব্যবসার উত্তেজনা হইয়ছে, তাহর ভগ্ন জীর্ণ গৃহাবলী, কতক বাসোপযোগী কান্তক বা সরকারী কার্য্যালয়রূপে রূপান্তরিত হইয়ছে, মুসলমান রাজভবনগুলি জজ কলেক্টর মাজিষ্ট্রেট পুলিসাধ্যক্ষ প্রভৃতি কর্ম্মচারীদের বাসগৃহ, জেলখান, পোষ্ট অফিস