পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার বোম্বাই প্রবাস *, ১৬৭ -এই সকলের জন্য পুরাতন গৃহ নূতন করিয়া নির্ম্মিত হইয়াছে, ভজনালয় গোরমন্দির পর্য্যস্ত অবৈধ ব্যবহারে কলঙ্কিত। ভূতপূর্ব্ব বড়লাট Lord Curzon এইরূপ অত্যাচার নিবারণে বিশেষ মনোযোগ দান করেন, তাহার শাসনে ইমারতগুলির অপব্যবহার কিয়ৎপরিমাণে বন্ধ হইয়াছে। সে যাহা হউক, এই সকল উপায়ে এই শবপুরীতে কি প্রাণসঞ্চার হইবে ? এ অংশ তুরাশা মাত্র । লোকদের সে জীবন্ত ভাব, সে স্বাধীন মূর্ত্তি কোথায়? এই পুীর ভগ্নগৃহের উপর কারিগরি মৃতদেহে পুষ্পসজ্জার মত বিসঙ্গত বোধ হয়। আর আধুনিক কারিগরের স্বীয় ককেকার্য্যের বাছার যতই বাহির করুক না কেন, কল্পনা এ সকল ছাড়িয়া ইতস্তত বিক্ষিপ্ত ভগ্নস্তপের উপরেই অতীতের সহিত ক্রীড়ামেদে মত্ত হয় । * গুজরাট ও গুরজাট গুজরাটের আবহাওয়া আমার তেমন পছন্দ হয় নাই কিন্তু গুজরাটদের মধ্যে অনেকের সহিত অমাব হৃদ্যত জন্মিয়ছিল । কি ভাষা, কি লোকদের রীতি বিচিত্র, গুজরাট ও বাঙ্গালীদের মধ্যে অনেক বিষয়ে মিল আছে, যেন বাঙ্গলার একখণ্ড পশ্চিম ভারতে জুড়িয়া দেওয়া হইয়াছে। ব্রিটিষ গুজরাটের রাজধানী আহমদাবাদ আমার প্রথম কর্ম্মস্থান । এই সহর সাবরমতী নদীতীরে উচ্চভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত। সৌন্দর্য্য ও শিল্পকলার দিক দিয়া দেখিতে গেলে ইহা দক্ষিণ ভারতবর্ষে সর্ব্ব গ্রগণ্য। সহরের প্রাচীর পূর্বপশ্চিম প্রায় এক মাইল বিস্তৃত, ১৫ হইতে ২০ ফুট উচ্চ, ইহার চোঁদটি প্রবেশদ্বার আর অনেকগুলি বুরুজ ও স্তম্ভে এই প্রাচীর মুসজ্জিত । আহমদাবাদের উপর দিয়া বহুতর রাজবংশের উপদ্রব গিয়াছে—মুসলমান, মাগল, মাৰাঠী— অবশেষে পেশওয়া রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ হইতে ইহা ইংরাজরাজের হস্তগত হয় ( ১৮১৮ )। আহমদাবাদ জরির কাজ, বেশমের কাজ আব যন্ত্র ও হাতচরথায় তৈয়ারি সুতার কাপড়, এই তিনের জন্ত প্রসিদ্ধ। কথায় বলে ইহার ভাগ্যগ্রন্থি তিন স্থত্রে বাধা— সোনা, রেশম ও তুলা। অনেকগুলি কাপড়ের মিলে गडूश्च नश्य শ্রমজীবি জীবিকা নির্ব্বাহ করিতেছে। প্রাচীন কীর্ত্তির চিহ্ন সকল সহরের স্থানে স্থানে ছড়াইয়া আছে। তাহার মধ্যে কারুকার্য্যময় মসজিদ, সমাধি মন্দির, তিন দরজা, কুপবাপী প্রভৃতি অনেকগুলি দর্শনীয় জিনিস আছে । Bombay Gazeteer Vol. 23. Bijapur i-Wheeler's History of India, Vol. 4 Part i