পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮০ আমার বোম্বাই প্রবাস জীবহিংসা করিবেক না । মাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ ; মদ্য অপেয়, অগ্রাহ, ঔষধার্থেও সেবন করিবেক না । চৌর্য্য, ব্যভিচার, আত্মপ্রশংসা, পরনিন্দ, অশ্লীলবাক্য পরিহার করিবেক । স্বধর্ম্ম পালন করিবে—পরধর্ম্মে হস্তক্ষেপ করিবে না। শ্রীতি স্মৃতির বিধানই ধর্ম্ম । অর্থলোভে ধর্ম্মভ্রষ্ট হইবেক না । প্রত্যুষে উঠিয়া কৃষ্ণনাম জপিবে—‘শ্রীকৃষ্ণঃ শরণং মম’, এই মন্ত্র বার বার আবৃত্তি করিবেক । সেই অন্তর্যামী পুরুষ যিনি জগতের আদিকারণ, তাছাকে কৃষ্ণ ভগবান পুরুষোত্তম পরব্রহ্ম যে নামেই হৌক স্মরণ ও ভজনা করিবেক । মন্দিরে গিয়া তাহার গুণকীর্ত্তন শ্রবণ করিবেক। তিনিই আমাদের উপান্ত দেবতা, তাহার প্রতি ভক্তিতেই আমাদের মুক্তি । দেবভক্তি ও কর্তব্য পালন —ইহাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম্ম । সধন গৃহস্থ অর্জনের দশমাংশ এবং নিধন বিংশভাগ শ্রীকৃষ্ণে অৰ্পণ করিবে। আমার শিষ্যবর্গের মধ্যে যাহার এই সকল নিয়ম পালন করিয়া চলিবেন, চতুর্ব্বৰ্গফল র্তাহীদের অব্যর্থ পুরস্কার।* কড়য়া কণী গুজরাটে কৃষিদলের সাধারণ নাম কণবী । কণবীগণ প্রধানতঃ দুই শ্রেণীতে বিভক্ত— লেওয়া কণবী ও কড়য়া কণবী। কড়া ও লেওয়া কণবী একত্রে পানভোজন করিতে পারে কিন্তু উহাদের মধ্যে পরস্পর বিবাহের আদান প্রদান নাই। কড়া কণবীদের মধ্যে দ্বাদশ বৎসর অন্তর বিবাহের লগ্ন উপস্থিত হয়। এই দ্বাদশ বৎসরের নিয়ম সম্বন্ধে জনশ্রুতি এই যে, একদিন হর-পার্ব্বতী বনের মধ্যে বিচরণ করিতে করিতে এক স্থানে আসিয়া বিশ্রাম করিলেন। মহাদেব , উমাকে কহিলেন, প্রিয়ে, তুমি এই স্থানে কিছুকাল অবস্থিতি কর, আমি বিরলে তপস্ত করিতে চলিলাম, দ্বাদশ বৎসর পরে আসিব । এই বলিয়া মহাদেব প্রস্থান করিলেন। বিরহ-বিধুরা উম কথঞ্চিৎ কালহরণ করিবার জন্ত মৃত্তিকার পুত্তলী গড়িয়া পূজা করিতেন। বার বৎসর পরে মহাদেব ফিরিয়া আসিলেন এবং উমার অনুরোধে ঐ সকল পুত্তলীকে জীবনদানকরতঃ সচেতন করিলেন, তাহ হইতেই কণবী জাতির উৎপত্তি হইল। এই হেতু কণী জাতি উমার বিশেষ ভক্ত। যে স্থানে মহাদেব বার বৎসর তপস্ত। করিয়াছিলেন, তাহ গাইকুয়াড় পরগণার উমা নামক গ্রাম বলিয়া নির্দিষ্ট। সেখানে একটি দুর্গামন্দির প্রতিষ্ঠিত, এই দেবীর আদেশক্রমে কড়য়া কণবীদের বিবাহ লগ্ন

  • Religious life and thought in India. Monier Williams.