পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

うー8 আমার বোম্বাই প্রবাস প্রতারকদল সকলেরই সমুচিত শাস্তি হয়। স্ত্রী বলিতেছেন, আমার স্বামী আমার ম বোন বলিয়া গৃহ হইতে তাড়াইয়া দিয়াছে আমার দোষ কি ? উপস্বামী বলিতেছেন— এই স্ত্রীর স্বামী বর্ত্তমান ইহা আমার স্বপ্নেরও অগোচর, জানিতে পারিলে কি এত টাকা দিয়া কন্যা ক্রয় করিতাম ? প্রতারকদল বলিতেছে, আমরা কিছুই জানি না, আমাদের সঙ্গে শত্রত করিয়া আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা নালিশ করিয়াছে, বর কল্প আমরা কাহাকেও চিনি না—আমরা আমাদের গ্রামে বাস করিতেছিলাম, তথা হইতে পুলিশের লোকে আমাদিগকে ধরিয়া আনিয়াছে। প্রত্যেক পক্ষ আপন আপন সাক্ষী আনিয়া হাজির ৷ পাঠকগণ বিবেচনা করিয়া দেখুন এই মিথ্যা জালের মধ্য হইতে সত্য নির্ণয় করা কি সহজ ব্যাপার ? গরবা গুজরাটী রমণীগণ সুরূপ, মিশুক ও আমোদপ্রিয়। গুজরাটে গরব বলিয়া একরকম গান নারীমহলে প্রচলিত। আশ্বিন মাসে নবরাত্রির উৎসবের আরম্ভ হইতে পূর্ণিমা পর্য্যস্ত এই গরব গানের ধূম লাগিয়া যায় । আহমদাবাদ বরদা সুরাট প্রভৃতি গুজরাটের প্রধান প্রধান নগরে কুলস্ত্রীগণ মিলিত হইয় গরব গানে মাতিয়া যায়। গীতের প্রধান বিষয় রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা । বিবাহাদি গার্হস্থ্য অনুষ্ঠানে গরব গান উৎসবের এক প্রধান অঙ্গ বলিয়া পরিগণিত। নাগর ব্রাহ্মণ রমণীরাই এই গানের ওস্তাদ । তাহাদের মধ্যে র্যারা সুগায়ক-বন্ধুবাটীতে গান গাহিবার জন্য র্তাহাদের নিমন্ত্রণ হয়। গরব একজনেও গাহিতে পারে কিন্তু সচরাচর নারীমণ্ডলী মিলিয়া গায় । গরব গাহিবার রীতি এই।—একদল গায়িকা চক্র বাধিয়া করতালি দিতে দিতে গীত আরম্ভ করে। আরম্ভের সময় প্রধান গায়িকা যিনি তিনি দুই এক তান ধরেন, পরে তাহাতে আর সকলে যোগ দেয়। প্রত্যেক চরণ দুইবার করিয়া গীত হয়। এমনও হইতে পারে যে গীতের প্রধান অংশগুলি প্রধান কর্তৃক গীত হয়, কেবল ধুয়াতে আর সকলে সমস্বরে যোগদান করে। এইরূপ চক্রকারে তালে তালে করতালি ধ্বনিতে নাগরিকদের মধুর সঙ্গীত গুজরাট ভিন্ন আর কোথাও শুনি নাই। না শুনিলে ইহার প্রকৃত মাধুর্য্য বোঝা যায় না। পেশাদারী শোক-প্রকাশ গুজরাটে একটা অদ্ভুত রীতি আছে—শোকের ভান করিয়া বুক চাপড়াইয় পেশাদারী শোক-প্রকাশ । মৃত ব্যক্তির জন্ত শোক করিতে হইলে একদল স্ত্রীলোক ভাড়া করিয়া আনা হয়, তাহার। বক্ষাঘাত করিয়া মহা আর্ত্তনাদ আরম্ভ করে। পথে