পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৪ আমার বোম্বাই প্রবাস করে দেন, অর্থাৎ তার বিষ্ঠা ঐ পর্য্যন্ত। এক একট। তান কিছুদিন পর্য্যন্ত র্তার মুখে লেগে থাকত, তার পরে থেমে যে ত । আমাদের একেলে বাঙ্গলা গান বা গল। র্তার পছন্দ হত না এবং আমাদের মধ্যে যাদের ভাল গtইয়ে মনে করি তাদেরও গান শুনে তিনি ব্যঙ্গ সহকারে নকল করতেন ও বলতেন, “সপ্ত সুরের” তোমরা কিছুই জান না। আমাদের পরিবারকে তিনি আরো নানা প্রকার ঠাট্টা করতেন ; Wol,—“Just like the Tagore family they make ten different engagements at the same time”. §§sts, তার নিকট-আত্মীয়স্বজন যদি কেউ থাকে, তাদের কাউকে আমি দেখিনি, তবে শুনেছি বটে যে বিপদ অপদে তাদের সাহায্য করেন। নিজেই বলতেন যে তাদের আমি নিয়মিত টাক পাঠাই এবং বলে দিয়েছি যে আমার কাছে এসে কেউ জালাতন করে না । মুখে যাই বলুন পরদুঃখে তিনি কাতর অব দানে মুক্তহস্ত। আমাদের কোন জামাতাকে নতুন বিবাহের পর দেখে তাকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে প্রথম প্রশ্ন এই করলেন যে “তোমার গরীব আত্মীয়দের সাহায্য করতে হয় কি ন?” বোধ হয় নিজে সে বিষয়ে ভুক্তভোগী। বহুকাল একক জীবন যাপন করায় ইংরাজসমাজ-খ্যাত চিরকুমারীর দ্যায় তার কতকগুলি পারিপাট্যের অভ্যাস বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছে। ঘরের আসবাবগুলি একটু এদিক ওদিক হবাব জে নেই। আমার ছেলেমেয়ের মধ্যে যার বিয়ে আগে হবে তাকে অমুক আসবাবটি দেবেন বলে লোভ দেখাতেন। তাদের সঙ্গে কতরকম মুখভঙ্গী করে ঠাট্টাতামাসা করতেন তা বলে শেষ করা যায় না। পঞ্চাশোর্দ্ধেও কতকগুলি বিষয়ে তিনি যেন নিতান্ত ছেলেমানুষ ছিলেন । কতবার আমরা তার আতিথ্যস্বীকার করে র্তার সঙ্গ উপভোগে আমোদে দিন কাটিয়েছি । র্তার ঘর ছুয়ার, খাবার বন্দোবস্ত সকলই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। “আজনা” (অৰ্জ্জুন ) একটি পুরাতন ভৃত্য-কথায় কথায় তার ডাক পড়ে। সন্ধ্যাবেল তার সাজটিও দেখবার জিনিস ! গায়ে কোট নেই, মাথায় একটি লম্বী রাজটুপী, পায়ে চটজুতা, আমাদের অভ্যর্থনার জন্ত নাটেকর নামক র্তার মুগায়ক বন্ধু গৃহে উপস্থিত ; গায়কের গানের সঙ্গে সঙ্গে তার উৎসাহও সপ্তমে চড়ে উঠেছে। আমরা এক একবার মনে করতেম, এ পাগল কলেজে গম্ভীরভাবে অধ্যাপনা করেন কিরূপে ! কিন্তু মস্তিষ্কের গোলে তার কাজের কোন প্রকার গোল হয়েছে বলে ত কখন শুনিনি। ছাত্রেরা তাকে খুবই ভালবাসত দেখতুম। তার সংসারে ভালবাসার জিনিসের মধ্যে ছিল কতকগুলি গরু বাছুর। বারান্দায় দরমার বাড়ার জানলার মধ্য দিয়ে তারা কখনো কখনো মুখ বাড়িয়ে দিত আর তিনি তাদের কত মাদর করতেন—আর ছেলেদের বলতেন, “এই দেখ, একেই ত বলে