পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>a R আমার বোম্বাই প্রবাস রকম সকম দেখে আমরা মুখে তাকে পাগল বলে ঠাট্টা করি বটে, কিন্তু সে পাগল বেহারী চক্রবত্তীর গানের ‘পাগল মানুষ’ স্মরণ করিয়ে দেয়— পাগল মানুষ চেনা যায়— ও তার হাসি হাসি মুখশশী, খুসী ফোটে চেহারায় । সাতারা সোলাপুর হইতে সাতারায় আমার বদলি হয়। সাতারা শিবাজী ও উহার বংশধর রাজগণের বাসস্থান । এই ঐতিহাসিক ক্ষেত্রে আমার সব্বিসের শেষ তিন বৎসর অতিবাহিত হয় । সেখানেই আমি কার্য্য শেষ করে ১৮৯৭ সালে অবসর গ্রহণ করি । শতাব্দীর শেষ পর্য্যন্ত ঐ দেশে কাটাবার ইচ্ছা ছিল কিন্তু ভগবানের মঞ্জী অন্তরূপ। নানা কারণে কর্ম্মত্যাগ করে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হলেম । গৃহে আমার জীবনস্রোত অন্ত দিকে ফিরে গেল, সেই স্রোতে আমার এখনকার এই বয়সে এসে পৌছেছি। অtহার প্রণালী সাতারায় মারাঠীদের মধ্যে অনেকের সঙ্গে আমার দেখা শুনা ও বন্ধুভাবে মেলামেশা হত। কপনে বা কোন মারাঠী বন্ধুর বাড়ী ভোজনের নিমন্ত্রণে যেতে হত। এদেশের ব্রাহ্মণ মাত্রেই নিরামিষভোজী, মাছ মাংসের কোন পাঠই নেই। সামান্ততঃ বলতে গেলে বোম্বাইবাসীরা রুটিথোর, বাঙ্গালীদের মত ভাতজীবী নয়। কিন্তু এ নিয়মের ব্যতিক্রম আছে। কোঙ্কন, কানাড়া প্রভৃতি স্থানে যেখানে বর্ষার প্রাচুর্য্যবশতঃ প্রচুর ধন জন্মে—ভাতক্ট সেখানকার লোকদের প্রধান আহার । তদ্ব্যতীত বাজরী, জোয়ারী, গম প্রভৃতি যেখানে যেরূপ শস্ত জন্মে তাহ সাধারণ লোকের মধ্যে প্রচলিত। তবে এটা মানতে হৰে যে ভাত সকল স্থানেষ্ট উপাদেয়, ভদ্রলোকদের ভান্ত ও ‘বরণ ( ভাল) ভিন্ন চলে না। রান্ন অনেকটা তামাদের ধরণ, কেবল তরকারিগুলি ঝালপ্রধান আর আমাদের মত ওদের কোন মিশ্র তরকারী রান্না হয় না। আহারের সময় কার পর কি খেতে হয় এমন বিশেষ কোন নিয়ম নেই। আমাদের যেমন তিক্ত হতে আরম্ভ করে ‘মধুরেণ সমাপয়েৎ' একটা নিয়ম আছে, ওদেশে মিষ্টি ঝাল লোন্ত৷ যখন যাতে অভিরুচি তাই গ্রহণে কোন বাধা নেই । মিষ্টে অরুচি হলে টক ঝাল, ঝালে অরুচি হলে আবার মিষ্টি, ঝালের মুখ মিষ্ট করে আবার লোন্তায় এসে পড়া