পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bsb" আমার বোম্বাই প্রবাস শিক্ষা দুইই একত্রে সংসাধিত হয়। সাধু তুকারাম স্বয়ং কীর্ত্তনকলায় পরিপক্ক ছিলেন। র্তার মাধুরীময় সঙ্কীর্ত্তন শুনতে লোকেরা দেশ দেশান্তর হতে আসত। শিবাজী রাজাও । অবসরক্রমে সেই সভায় উপস্থিত হতেন। মহীপতিকৃত ভক্তলীলামৃত গ্রন্থে আছে যে, তুকারামের উপদেশ ও সংসর্গগুণে মহারাজের বৈরাগ্যোদয় হয়েছিল ; এমন কি তিনি রাজকার্য্য পরিত্যাগ করে বনে গিয়ে ধ্যান ধারণায় নিযুক্ত থাকতেন। তুকারাম আবার সদুপদেশ দিয়ে তাকে তঁর কর্ম্মক্ষেত্রে ফিরিয়ে আনেন। এক্ষণকার কালে রুচির পরিবর্তন যেমন বাঙ্গল দেশে দেখা যায়, ওদিকেও তেমনি। এখন সর্ব্বত্র নাটকের পালা পড়েছে, যাত্রা কথা কীর্ত্তন এ সব কারে ভাল লাগে না। মারাঠীদের মধ্যেও ভাল ভাল নাটকমণ্ডলী আছে, তারা শকুন্তল, মৃচ্ছকটী, নারায়ণ রাও পেশওয়া বধ প্রভৃতি নাটকের অভিনয় করে। ও-দেশে সে সব নাট্যকারদের পশার ভারী। এই সকল নাট্যে গণপতি সরস্বতী প্রভৃতি দেবদেবীর মৃত্যগীত হবার পর রীতিমত কথারম্ভ হয়। অভিনয়ের প্রারম্ভে ময়ূরবাহন বীণাপাণি নৃত্য করতে করতে রঙ্গভূমিতে অবতীর্ণ হন। ও-দেশে সরস্বতীর বাহন-ময়ূর। ইংরাজের মারাঠা দেশে অল্পে অল্পে কিরূপে স্বীয় আধিপত্য বিস্তার করিল সে এক কৌতুহলপূর্ণ অপূর্ব্ব কাহিনী ; তাহ ভাল করিয়া জানিতে হইলে মারাঠী রাজ্যের গোড়াপত্তন হইতে আরম্ভ করা আবগুক। অন্ত সকল প্রসঙ্গ ছাড়িয়া এই স্থলে তাহার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া যাইতেছে ; কিন্তু হাজার সংক্ষেপ করিলেও তাহ দুই তিন অধ্যায়ের কমে সম্পূর্ণ হওয়া অসম্ভব। পাঠকদের যদি ভাল না লাগে, তবে এ ভাগ ডিঙ্গাইয়। যাইতে পারেন । মহারাষ্ট্র রাজ্যস্থাপন—শিবাজী রাজা সপ্তদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে মোগল সম্রাট ভারতের সর্ব্বোচ্চশিখরে আরূঢ়। দাক্ষিণাত্য তখনও মোগল-যুপ স্বন্ধে বহন করে নাই, ক্রমে দিল্লীর সম্রাট দক্ষিণ-ভারতবর্ষে স্বীয় আধিপত্য বিস্তারে ব্রতী হইলেন। ১৩৪৭ খৃষ্টাব্দে সুলতান আল্লা-উদ্দীন দক্ষিণের সুবিস্তৃত প্রদেশ অধিকার করিয়া ‘বামন রাজবংশ সংস্থাপন করেন। তাহার দেড়শত বৎসরের কিছু পরে দক্ষিণের সেই মহাবল-পরাক্রান্ত বামন বংশ ধ্বংস হইয়। তাছার ভগ্নাবশেষ হইতে বিজাপুর, আহমদনগর, গলকও প্রভৃতি পঞ্চ মুসলমান-রাজ্য সমুখিত হইল। ১৫৬৫ অব্দে মুসলমান রাজারা দলবদ্ধ হইয়া বিজয়নগরের হিন্দু রাজাকে তালিকোট যুদ্ধে পরাভূত করিয়া দক্ষিণে মসলিম একাধিপত্য স্থাপন করিলেন। দক্ষিণ রাজকুলের শ্রীবৃদ্ধি দেখিয়া মোগল সম্রাটের ঈর্ষানল উদ্দীপ্ত হইল। আকবরের সময়