পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৮৪

আমার বোম্বাই প্রল{স ミ>Q ছিলেন। সঙ্গমেশ্বরে আমোদ প্রমোদে মন্ত আছেন, এমন সময় জনৈক মোগল সর্দার সন্ধান পাইয় তাহাকে বন্দী করিয়া ঔরঙ্গঙ্গীবের নিকট ধরিয়া আনে। শম্ভোজীর প্রাণ রক্ষার্থে বাদসাহকে অনেক অনুরোধ করাতে সম্রাট বলিয়া পাঠাইলেন, “তোর জীবন মরণ তোর আপনারই হাতে। যদি মুসলমান ধর্ম্ম গ্রহণ করিস তবেই তোর প্রাণ রক্ষা, নতুবা জল্লাদের হাতে তোর প্রাণদণ্ড হইবে।” শস্তোজা উত্তর করিলেন, “বাদস যদি আপনার কন্যাকে আমার সঙ্গে বিবাহ দিতে রাজী হন, তাহ’লে আমি মুসলমান হই ।” এষ্ট উত্তরে ঔরঙ্গ জীব ক্রোধান্ধ হইয়া শম্ভোজীব প্রাণদণ্ডের আদেশ করিলেন । পেশওয়া বালাজী বিশ্বনাথ ১৭১৪ শম্ভোজীর পুত্র সাহু শৈশবকালে ঔরঙ্গ জীবের হস্তে পড়িয়া অনেক বৎসর কারাবাস ভোগ করেন। বাদসার মৃত্যুর পর তিনি মুক্তিলাভ করিয়া স্বরাজ্য ফিরিয়া পান কিন্তু মোগলদের মধ্যে সুদীর্ঘ কারাবাস প্রযুক্ত র্তাহাতে আর কোন পদার্থ ছিল না । নিজে রাজকার্য্য পরিচালনে অক্ষম, সুতরাং ক্রমে সমস্ত রাজ্য ভার সচিব প্রধান পেশওয়ার হস্তে সন্ন্যস্ত হইল। প্রথম পেশওয়া বালাজী বিশ্বনাথ । ১৭১৪ সালে বালাজী প্রধান মন্ত্রীপদে প্রতিষ্ঠিত হইয়া ক্রমে নৃপতিকে অতিক্রম করিয়া উঠিলেন । পেশওয়া পদ র্তাহার বংশানুগামী হইল। সাহু কেবল নামে ছত্রপতি, পেশওয়াই আসল রাজ । শেষে এমন হইল সাতারার রাজা সাতবায় বন্দী, পেশওয়াই সর্ব্বময় কর্ত্ত। নূতন পেশওয়ার অভিষেককালে অভিষেক বসন মহারাজের নিকট হইতে আনান হইত এই যা রাজমর্য্যাদার অবশিষ্ট রহিল । ১৭১৮ সালে বালাজী পেশওয়া সইয়দ ভ্রাতৃদ্বয়ের পোষকতায় সসৈন্ত দিল্লী যাত্রা করেন। তার বৎসর দুই পরে দাক্ষিণাত্য রাজস্বের চৌথ আদায়ের বাদসাহী পরওয়ান লাভ করেন, তাহার প্রযত্নে পুণা ও সাতারার অধীনস্থ প্রদেশসমূহে মহারাষ্ট্র রাজপতাকা বিধিমত বদ্ধমূল হইল। বাজিরাও ১৭২১ বালাজীর পুত্র বাজিরাও দ্বিতীয় পেশওয়া। ইনি একজন অসাধারণ ধীশক্তিসম্পন্ন তেজস্বী পুরুষ ছিলেন । যোগ্য পিতার যোগ্যতর সস্তান । হাইদ্রাবাদে নিজাম রাজ্য সংস্থাপক নিজাম আলি ইহার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন—ইহার সহিত শেষ পর্য্যস্ত বাজিরাওয়ের দ্বন্দযুদ্ধ চলিয়াছিল। কিন্তু পেশওয়ার প্রধান লক্ষ্য ছিল উত্তর হিন্দুস্থান । মোগল রাজ্যের ভক্ষুস্তপের মধ্যে মহারাষ্ট্র জয়স্তম্ভ নিখাত করাই তাহার আন্তরিক বাসনা। একদা তিনি মন্ত্রীসভায় সাহু রাজাকে বলেন, “এই আমাদের সময় । ভারতভূমি হইতে