পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२३४ আমার বোম্বাই প্রবাস কার্য্যে ও পরিণত হইল। এদিকে আবার দৌল তরী ও সিন্দে বাজি রাওরের পক্ষ গ্রহণ করায় অবশেষে সেই পক্ষেরই জয় হইল। এইরূপে অশেষ উৎপাতের হস্ত এড়াইয়৷ ৪ঠা ডিসেম্বর ১৭৯৬ সালে বাজি রাও পেশওয়৷ সিংহাসনে অধিরূঢ় হইলেন। নানাও বিস্তর ফাড় কাটাইয়া পরিশেষে প্রধান মন্ত্রাপদে নিযুক্ত হইলেন। বাজিরাও পেশওয়া —নানা ফর্ণবীস তাহার দেওয়ন। বাজিরাও পুণর শেষ পেশওয়া । নানা ফর্ণবাস যতদিন মন্ত্রীরূপে রাজ্যের হাল ধরিয়াছিলেন ততদিন রাজ্যতরী নানা সঙ্কটের মধ্যে এক প্রকার নিরাপদে চলিয়াছিল। পুণা দরবারে তিনি একমাত্র বিচক্ষণ কর্ণধার ছিলেন। ইংরাজদের প্রতাপ ও সত্যনিষ্ঠার উপর তাহার যথেষ্ট শ্রদ্ধা ছিল ; কিন্তু অতবড় প্রবল শক্রকে বক্ষে স্থান দিলে বিষম বিপাকের আশঙ্কা বিবেচনায় তিনি ইংৰাজদিগকে সাধ্যমত দূরে রাখিতে সচেষ্ট ছিলেন। বাজিরাওয়ের আমলে নানা ফর্ণবীস রাজ্যের হিতকামনায় পেশওয়াকে নিঃস্বার্থভাবে সৎপরামর্শ দিতে সর্ব্বদাই তৎপর ছিলেন। কিন্তু রাজা যখন অব্যবস্থিত ব্যসনাসক্ত দুর্ব্বদ্ধি, তখন মন্ত্রী আর কত পারিয়া উঠিবেন ? যশবন্তরাও হেলিকর ১৮০০ সালে নানার মৃত্যুর পর মহারাষ্ট্রে ভয়ঙ্কর অরাজকতা উৎপন্ন হইল । পেশওয়ার শাসন নির্জীব ও অস্তঃসারশূন্ত, চতুর্দিকে বিপ্লব, যে যেখানে পারে সৈন্যবল ংগ্রহ করিয়া নিজ নিজ স্বাধীনতা সাধিয়া লইতে তৎপর। বৎসরেক পরে আর এক নুতন বীর সমরক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন—ইনি যশবন্তরাও হোলকর । সিন্দিয় এতদিন হোলকরকে বশে রাখিয়াছিলেন, যশবন্তরাও সহসা স্বাধীন ফুর্ত্তিতে সমুখানপূর্ব্বক সিন্দের বিরুদ্ধে কটিবদ্ধ হইলেন। যশবস্তের রণকাহিনী বর্ণনা করিবার পূর্ব্বে এইস্থলে ক্ষণেকের জন্ত তাহার পূর্বপুরুষদের অবতারণা করিতে ইচ্ছা করি । হোলকর বংশ । হোলকর বংশ আসলে ধনগর (গয়ল ) জাতীয় মারাঠা । পুণাসন্নিহিত নীরনদী তীরবর্তী হোলগ্রামে তাহদের আদিম নিবাস ও সেই গ্রাম হইতে র্তাহীদের কুলনামের উৎপত্তি। হোলকর বংশের মুখোজ্জলকারী মহলাররাও ১৬০০ খৃষ্টাব্দের শেষ ভাগে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বাল্যকালে খানদেশে তাহার মামার মেষপালক ছিলেন ।