পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩ • আমার বোম্বাই প্রবাস অহল্যাবাই রাজ্যভার গ্রহণ করেন। তুকাঞ্জিরাও র্তাহার সেনাপতি । উভয়ে মিলিয়া, অশেষ ক্ষমতা ও দক্ষতাসহকারে ৩০ বৎসর কাল রাজকার্য্য নির্ব্বাহ করেন। তুকাজীর দাক্ষিণাতো অবস্থানকালে সাতপুর শ্রেণীর দক্ষিণস্থ সমস্ত প্রদেশের তত্ত্বাবধান করা, করদ রাজ্য সকল হইতে কর আদায় কর, এ সকল অহল্যাবাই করিতেন । যখন তুকাজী উত্তর হিন্দুস্থান পরিদর্শনে গমন করিতেন, তখন মালব নিমার প্রভৃতি প্রদেশের সমগ্র কার্য্যভার রাজ্ঞীর হস্তে সমৰ্পিত—সমুদায় দক্ষিণাত্যে র্তাহার শাসন বিস্তৃত। রাজকোষ তাহার হস্তাধীন-রাজ্যের আয় ব্যয় হিসাব নিয়মপূর্ব্বক রক্ষিত হইত। কোন গুরুতর রাজকার্য্য উপস্থিত হইলে তুকাজী রাজ্ঞীর পরামর্শ ভিন্ন কার্য্য করিতেন ন এবং পররাজ্যে যে সকল কর্ম্মকর্ত্ত নিয়োগ করিতে হইত, তাহ অহল্যাবাই স্বয়ং করিতেন । র্তাহার অনুপম নয়কৌশলে পররাজ্যের সহিত মিত্রতা-গ্রন্থির কোন শৈথিল্য ঘটে নাই। এদিকে আবার স্বরাজ্যে প্রজাদের সুখশান্তিবদ্ধনেও তাছার অশেষ যত্ন । এক দিকে অতিরিক্ত করভার হইতে রায়ৎদের অব্যাহতি দান, অন্ত দিকে জমিদারদের স্বত্বরক্ষণ, এই দুই দিক রক্ষা করিয়া চলিতেন । রাজ্ঞী যেরূপ প্রজাবৎসল, প্রজারাও র্তাহাকে নীতিপ্রজ্ঞা-মূর্ত্তিমতী জননী সমান শ্রদ্ধাভক্তি করিত। তিনি অর্থ প্রত্যাদিগকে আদালত পঞ্চায়ং অথবা মন্ত্রীবর্গের বিচারে সপিয়াই নিরস্ত থাকিতেন না, যথা নির্দিষ্ট সময়ে প্রকাশু দরবারে নিজ হস্তেই স্তায় বিতরণ করিতেন—যাহার যে কোন আবেদন তাহ স্বকর্ণে শ্রবণ করিয়া, যথোচিত প্রতিবিধানে তৎপর ছিলেন, শক্তের ভক্ত হইয়া দুর্ব্বলের প্রতি অন্যায় পীড়ন অনুমোদন করিতেন না, স্ত্রীজন চিত্ততোষী তোষামোদও তাহাকে স্তায়মার্গ হইতে বিচলিত করিতে পারিত না । এই রূপবতী, গুণবতী, ধর্ম্মনিষ্ঠ রাজ্ঞী মহারাষ্ট্র দেশকে শোকসাগরে ভাসাইয়া ১৭৯৫ অব্দে ষাট বৎসর বয়সে সংসার যাত্র হইতে অপস্থত হন । সেনাপতি তুকাজীকে তিনি অত্যন্ত স্নেহ কুরিতেন কিন্তু কি করেন—সে বয়সে বড়, তাহাকে পোষ্যপুত্র গ্রহণ করা সঙ্গত হয় না, কিন্তু তাহ। ন হইলেও তাছাকে মহলাররাওয়ের পুত্র ও উত্তরাধিকারীরূপে বরণ করিয়া যান। প্রথম মারাঠী সমরে তুকাজী হোলকর ও মহাদাজী সিনো উভয়ে মিলিয়া একমনে কার্য্য করেন। শেষাশেষি তাহদের পরম্পর বৈমনস্ত ও বৈরভাব সংঘটন হয়। মহাঙ্গাজীর মৃত্যুর কয়েক বৎসর পরে তুকাজী পরলোকগত হয়েন। তুকাজীর চারি পুত্র। কাশীরাও ও মালাররাও দুইজন পত্নী-গর্ভজাত-যশবন্ত ও বিঠোজী দুই দাসীপুত্র। কাশীরাও মালাররাও দুই ভায়ে রাজ্য লইয়া কাড়াকড়ি ; জ্যেষ্ঠের সহায় দৌলতরাও সিন্দে, কনিষ্ঠের পক্ষে নানা ফর্ণবীস। একবার দুই ভায়ের মধ্যে মিলনের চেষ্ট হয় কিন্তু লে চেষ্টার কোন ফল হইল না। যে দিনে কুই