পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७७ আমার বোম্বাই প্রবাস চাদবিবি BBBBBBB BBBBBB BBBBS BBBB B BBBBB BBB g BBBBBB পরিচয় দিয়াছিলেন তাহাতে র্তাহার নান ও-অঞ্চলে চিরস্মরণীয় হইয়া রহিয়াছে । তিনি তাহার আত্মীয় বিজাপুর সুলতানের সাহায্য প্রার্থনা করিয়া পাঠাইলেন কিন্তু সুলতান সময় মত আসিতে পারলেন না। চাদবিধি একলাই তার বিচ্ছিন্ন সৈন্যবল একত্রিত করিয়া মোগলবলের বিপক্ষে কটিবদ্ধ হইয়া দাড়াইলেন। এদিকে যুবরাজ মোরাদ সৈন্তসামন্তে নগর বেষ্টন করিয়াছেন, স্থানে স্থানে সুড়ঙ্গ প্রস্তু ত, কিন্তু রাণী কিছুতেই বিচলিত হইবার নন। প্রত্যহ অশেষ সঙ্কটের মধ্যে কেল্লা পর্য্যবেক্ষণ করিয়া তাহার বলাধানের উপায় চিন্তা করিতেছেন । মোগলখনিত দুইটা সুরঙ্গ দেখিতে পাইয় তাহা প্রতিবিধানের ব্যবস্থা করিয়া দিলেন। তৃতীয় আর একটা সুড়ঙ্গ ছিল তাহার বিরুদ্ধে সৈন্ত চালাইবার পূর্ব্বেই শক্রগণ তাহ উড়াইয় দেওয়াতে সেই সঙ্গে অনেক দুর্গপাল বিনষ্ট হইল, প্রাচীরে বৃহৎ ছিদ্র দেখা গেল, লোকেরা প্রাণভয়ে পলায়নোদ্যত-চাদবিবি কবচ ধারণপূর্ব্বক মুখের উপর একটা ঘোমটা ফেলিয়া খোলা তরবারে সেই স্থানে গিয়া উৎসাহ বাক্যে সকলকে ডাকিয়া আনেন–র্তাহার দৃষ্টান্তে ভীরুও সাহস পাইল, গুলি গোল তীর যাহা কিছু ছিল শত্রদের উপর বর্ষণ হইতে লাগিল । অবশেষে ঘোরতর যুদ্ধের পর মোগল সৈন্ত পিছু হটিয়া গিয়া সেদিনকার মত নিরস্ত হইল। চাদবিবি সে রাত্রে সমস্ত রাত্রি অবিশ্রাস্ত কাজ করিতেছেন ৷ পর দিন প্রাতে মোগলের। দেখিতে পাইল প্রাচীরের ছিদ্র অনেকটা বুজিয়া গিয়াছে তাহদের প্রবেশদ্বার রুদ্ধ, নূতন মুড়ঙ্গ না করিলে আর প্রবেশের পথ নাই। যুবরাজ ভাবিলেন গতিক বড় ভাল নয়, প্রস্তাব করিয়া পঠাইলেন, যদি বহ্রাড় (Berar) প্রান্ত দিল্লীশ্বরকে ছাড়িয়া দেওয়া হয় তাহা হইলে তিনি যুদ্ধে ক্ষান্ত দিবেন। চ দবিবি বিজাপুরের সাহায্যলাভে হতাশ হইয়া এই প্রস্তাবে অগত্য সম্মত হইলেন । যুবরাজ ও অল্প স্বল্প ফললাভে সন্তুষ্ট হইয়া সসৈন্তে ফিরিয়া গেলেন । সুলতান সেবারকার মত যেন কোন প্রকারে নিস্তার পাইলেন কিন্তু সে অল্পকালের জন্ত । তাহার দুই বৎসব পরে মোগলের ফিরিয়া আসিয়া আবার নগরের উপর হল্লা করিল। এবার রাজ্ঞী আর শত্রুহুস্ত এড়াইতে পারিলেন না । তিনি দেশরক্ষণে প্রাণপণে চেষ্টা করিতে লাগিলেন কিন্তু তাহার সমুদায় চেষ্টা ব্যর্থ হইল। এদিকে বাহিরের শত্র তাহার উপর আবার গৃহবিচ্ছেদ ; চাদবিবি দেখিলেন এবার আর রক্ষা নাই। উপায়াস্তর না দেখিয়া মোগলের সঙ্গে সন্ধি সাধনের উদ্যোগ করিতেছেন, এমন সময় তাহার সৈন্তেরা বিদ্রোহী