পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&S● g আমার বোম্বাই প্রবাস তা নয়। আরো দুতিন বৎসর অতীত হলে তবে তাদের প্রসবের উপযোগী অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পূর্ণত প্রাপ্ত হয়। এ থেকে প্রমাণ হচ্চে যে আমাদের দেশে বিবাহের নিয়ম প্রাকৃতিক নিয়মের বিরোধী । যেখানে স্ত্রীর যৌবনাবস্থা হওয়া পর্য্যন্ত পিতৃগৃহে বাস করা রীতি আছে ( যেমন মারাঠা দেশের কোন কোন স্থানে দেখেছি, ) সেখানে অবশ্য বাল্য-বিবাহের দোষ অনেকটা খণ্ডন হয় কিন্তু আমাদের দেশে বালক বালিকার বিবাহের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মত এক ত্র সহবাসের যে নিয়ম আছে তার চেয়ে অনিষ্টকর কুৎসিত নিয়ম আর কী হতে পারে ? প্রথিতনামা ডাক্তার চুনীলাল বসু ৰ্তাহার নব প্রকাশিত ‘শারীর স্বাস্থ্য বিধান বিষয়ক পুস্তিকায় বাল্য-বিবাহ সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন তাহ আমাদের সকলেরই প্রণিধানযোগ্য। তাহার ব্যক্তব্য এই : “আমাদের সমাজের বর্তমান অবস্থায় এই তত্ত্বটুকু বিশিষ্টভাবে হৃদয়ঙ্গম করিবার প্রয়োজন উপস্থিত হইয়াছে। যে বয়সে, যে অবস্থায় এবং যে ভাবে আমাদের দেশে পুত্র কন্যা জন্মিতেছে তাহাতে তাহারা যে ক্ষীণশক্তি, চিরক্লয় ও অল্পজীবী হইবে, তাহাতে আর বিচিত্র কি ? পিতামাতার দেহ পূর্ণতা লাভ করিবার বহুদিন পূর্কেই তাহাদিগের দেহে ইন্দ্রিয়সেবাজনিত ক্ষয়ের আরম্ভ হইয়া থাকে। প্রথমতঃ ২৫ বৎসরের নুনে পুরুষের দেহ পূর্ণতা লাভ করে না ; ইহার পূর্ব্বে তাহার বিবাহ হইলে অপূর্ণদেহ হইতে সবল সস্তান লাভ করিবার আশা তুরাশা মাত্র । তদুপরি সাংসারিক অসচ্ছলতা হেতু শারীরিক এই অপূর্ণত আরো অধিক পরিমাণে আমাদিগের যুবকবৃন্দের মধ্যে বিদ্যমান থাকে । বালিকাগণের যে বয়সে বিবাহ হয় এবং ষে বয়সে তাহারা জননীপদগৌরব লাভের অধিকারিণী হইয়া থাকে, তাহ ভাবিয়া দেখিলে এই জাতির ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বিশেষ দুর্ভাবনা উপস্থিত হয়। এই সকল দুগ্ধপোষ্য বালিকাদিগের গর্ভ হইতে যে সন্তান উৎপন্ন হইবে, তাহারা যে কখন জীবনে শৌর্য্য বীর্য্যের পরিচয় দিতে পারিবে এরূপ আশা করা বাতুলের কার্য্য মাত্র। আমাদের দেশে শিশুদিগের মৃত্যুসংখ্যা যত অধিক, পৃথিবীর অপর কোন দেশে সেরূপ দেখিতে পাওয়া যায় না। বহুদৰ্শী চিকিৎসকদিগের মত এই যে, অপরিণত পিতামাত হইতে উদ্ভূত বলিয়াই এই সকল শিশুদিগের জীবনীশক্তি এত অল্প এবং সামান্ত কারণেই উহার রোগগ্রস্ত ও মৃত্যুমুখে পতিত হইয় থাকে। আর যাহারা বাচিয়া থাকে তাঙ্গরাও কোনরূপে স্থূর্বাহ জীবনতার বহন করিয়া জীবনের নির্দিষ্টকাল অতিক্রম না করিতেই মৃত্যুমুখে পতিত छ्प्ले ! ,