পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার বাল্যকথা २१ শাস্তি নিকেতন । শান্তি-নিকেতন, শ{স্ত সুশোভন, সুভদ্র হরিত ক্ষেত্র গুমিকান্ত নিভৃত কানন। বিমল শোভয়, সরোবর ভয, নভসীর বনীর স্বচ্ছ দরপ ৭ { আমি যে পণ্ডিতেব নিকট সংস্কৃত অধ্যয়ন করতুম বড়দাদ। তার কাছে পড়তেন ন,—তার সংস্কৃত অধ্যাপক ছিলেন রমনারায়ণ পণ্ডিত, ‘বহুবিবাহ’ নাটক রচয়িত । তার শিক্ষা গুণে বড়দাদ সংস্কৃতকলো শীঘ্রই ব্যুৎপত্তি লাভ করেছিলেন। সংস্কৃত পদ্যে একটি কলিকাতা বর্ণনা আছে সে তার সেই সময়কার রচনা । তাব কয়েকটি শ্লোক আমার যা মনে আছে ত এই ;---- কলিকতা । ইংরাজ রাজরাজ্যং যং ত্রিলোকী তলবিশ্রুতং রাজধানীং সুলিস্তীর্ণং কলিকতাং বিভর্ত্তি তত্ব । পয়ঃ পূরপ্রবাহিন্ত গঙ্গয় পুণ্যসঙ্গয় কলিকতাপুরী ভীতি নিত্যং মেথলিনীব সী। রথ রম্যাঃ সুগম্যtশ্চ যত্র ভtস্তি সহস্রশঃ দৃতিপাত্রগলদ্বার-নিবারিতরজশ্চয়। শতঘ্নীশতমুক্তেন দুর্গেণ দুগ্র হারিভিঃ উদ্যৎ বিদ্যুৎপ্রভাজাল সৈন্যশস্ত্রাস্ত্রণোভিন । ত্রিলোক বিশ্রাত এই ইংরাজ রাজ্যের মাঝে সুবিস্তীর্ণ রাজধানী কলিকাত কিব| সাজে । পূর্ণকায় পুণ্যতোয় জাহ্নবী বহিয়া যায়, তারি অঙ্গে কলিকাত মেখলিনীসম ভায । সুরম্য সুগম্য যথা শত পথ ব্যাপি লয়, চর্ম্মপাত্র গলদ্বরি ধূলরাশি নিবারয়। শত শত তোপযুক্ত দুগ্রহ দুর্গ রক্ষিত, উদ্যং বিদ্যুৎপ্রভসম সন্তান্ত্রশস্ত্রগঞ্জিত। বড়দাদ সংস্কৃত ছন্দে অনেক বাঙলা কবিতা রচনা করেছেন, তার কয়েকটি নমুনা দিচ্ছি – ->