পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার বাল্যকথা (to অসমসাহসের কাজে প্রবৃত্ত হয়েছিলুম বলতে হবে। আমরা দুটি তরুণবয়স্ক বালক আর তখন ইংলণ্ডে যাওয়া এখনকার মত এপাড়া ওপাড়া নয় । Suez Canal তখন প্রস্তুত হয় নাই, Suez থেকে Alexandria পর্য্যন্ত বেলপথ। এই পথের সমুদায় বিঘ্নবাধ৷ অতিক্রম করে যাওয়া আমাদের মত বালকের পক্ষে সহজ ছিল না । তখনকার কালে লোকে ‘কালাপাণি’ পার হওয়া এক অসাধ্যসাধন মনে করতঅকারণে নহে ; কেননা আমাদের মধ্যে প্রথম যে দুইজন যাত্রী যান, রামমোহন রায় ও দ্বারিকানাথ ঠাকুর, তাদের আব দেশে ফিরে আসতে হয় নাই । কাজেই লোকেদের ধারণা ছিল যে ও-দেশে গেলে আর ফিরতে হবে ন!— “The land from whose bourne no traveller returns” যা হোক শেষে আমাদের যাওয়াই সাব্যস্ত হ’ল। আমি ত আমার প্রিয়জনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে অকুল পাথারে ভেসে পড়লুম। আমার সে সময়কার একটি বিদায়ের গান এই – কেমনে বিদায় লব থাকিতে জীবন কোন প্রণে চলে যাব বিজন গহন । কেমনে ছড়িব তারে, সদ! প্রাণ চাহে যারে, কেমনে সহিব বল বিচ্ছেদ দহন ৷ শরীর যদিও যবে, नन मलि! ८श्! द्र:, যার ধন তরি কাছে রবে অনুক্ষণ । দিবস ফুরায় যত, ছযা যায় দূরে তত, কতু না ছড়িয়ে তবু পাদপ-বন্ধন । আমরা পথের, সমুদায় বিপ্লবাধা অতিক্রম করে ভালয় ভালয় আমাদের গম্যস্থানে গিয়ে পৌছলুম, আমাদের জাহাজ Southampton বন্দরে নোঙর করবামাত্র আমার আত্মীয় জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুর * আমাদের নিতে এলেন । আমরা তার সঙ্গে লণ্ডনে গিয়ে র্তার বাড়ীতে উঠলুম। তার স্ত্রী কমলা ও দুই কন্য। আমাদের সাদরে অভ্যর্থনা করে ডেকে নিলেন। তাদের অতিথি হয়ে কিছুকাল সুখে কাটান গেল। তাদের বাড়ী থঃমিসনরিদের এক আডড ছিল, তা ছাড়া সেথানকার অন্যান্ত লোকদের সঙ্গে আলাপ পরিচয় করবার সুবিধা পেলুম । সেখানে Hodgson Pratt নামক একটি ভারতহিতৈষী মহাত্মার সঙ্গে আমাদের পরিচয় হ’ল, তিনি অভিভাবকের ন্তায় আমাদের অত্যন্ত যত্ন

  • ইনিই প্রথম বাঙ্গালী ব্যারিষ্টার ;–অনেকে হয়ত তা জানেন না !