পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাব বাল্যকথা ‘VH অক্ষয়কুমার দত্ত ইনি ছিলেন আমাদের সাহিত্যগুরু। ১৮৪৩ সালে তিনি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদকরূপে নিযুক্ত হন, সেই সময় থেকে আমাদের বাড়ী তার যাওয়া আসা। এই কার্য্যে নিযুক্ত হওয়ার বিবরণ আমার পিতাব আহ্বাচবিতে না লেখা আছে তা এই – “ আমি ১৭৬৫ শকে তত্ত্ববোধিনী পত্রিক প্রচারের সঙ্কল্প করি । পত্রিকাব একজন সম্পাদক নিয়োগ আবখ্যক । সভ্যদিগের মধ্যে অনেকেরই রচনা পরীক্ষা করিলাম কিন্তু অক্ষয়কুমার দত্তের রচনা দেখিয়া আমি তাহকে মনোনীত করিলাম। র্তাহার এই রচনাতে গুণ ও দোষ দুইই প্রত্যক্ষ করিলাম। গুণেব কথা এই যে, তাহার রচনা অতিশয় হৃদয়গ্রাহী ও মধুব। আর দোষ এই যে, ইহাতে তিনি জটাজুটমণ্ডিত ভস্মাচ্ছাদিতদেহ তরুতলবাসী সন্ন্যাসীব প্রশংসা করিয়াছিলেন। কিন্তু চিহ্নধারী বহিঃসন্ন্যাস আমার মতবিরুদ্ধ। আমি মনে করিলাম, যদি মতামতের জন্ত নিজে সতর্ক থাকি, তাহা হইলে ইহার দ্বাবা অবশ্যই পত্রিকা সম্পাদন করিতে পারিব। ফলতঃ তাহাই হইল । আমি অধিক বেতন দিয়া অক্ষয়বাবুকে ঐ কার্য্যে নিযুক্ত করিলাম। আমি BBB BB BBBB BBBS BBBBBB BBBB BBBBB BB BBS BBB রচনার সৌষ্ঠল তৎকালে অতি অল্প লোকেরই দেথিতাম । তখন কেবল কয়েকখানা ংবাদপত্রই ছিল । তাঁহাতে লোক-হিতকর জ্ঞানগর্ভ কোন প্রবন্ধই প্রকাশিত হইত না। বঙ্গদেশে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় সর্ব্বপ্রথমে সে অভাব পুরণ করে।” অক্ষয় বাবুর একটা উচু Standing desk ছিল । ঘরের মধ্যে পদচারণা করতেন আর দাড়িয়ে দাড়িয়ে পত্রিকাৰ জন্ত প্রবন্ধ লিখতেন –“ব্রহ্মাণ্ড কি প্রকাণ্ড ব্যাপার ।” তখনকার কাণে অক্ষয়কুমার দত্ত অব ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর বঙ্গভাযাব দুই স্তম্ভ ছিলেন । যখন তারা সেই ভাষা গড়ে তুললেন তখন তা সংস্কৃতবহুল হয়ে দাঁড়াল। বিদ্যাসাগর মহাশয় ও অক্ষয়বাবু “উভয়েই সংস্কৃত ভাষাভিজ্ঞ ও সংস্কৃত ভাষানুরাগী ছিলেন, সুতরাং তারা বাঙ্গলাকে যে পরিচ্ছদ পরালেন তা সংস্কৃতের অলঙ্কারে পরিপূর্ণ হ’ল। অক্ষয়বাবুৰ লেখার এক নমুন আরম্ভে দিয়েছি, আর একটি নমুন। এখানে দিচ্ছি, তা হ’তেই এ কথার যথার্থ্য সগ্রমাণ হবে। সূর্য্যোদয়ের বর্ণনা “অনন্তর বিশ্বলোচন তিমিরমোচন তরুণ বিভাকর, যবকুসুম-সদৃশ আশ্চর্য্যময়ী মহীয়সী মূর্ত্তি ধারণপূর্ব্বক, পূর্ব্বদিকস্থিত স্বরাগ-রঞ্জিত প্রবাল-মণ্ডিত মুরম্য প্রাসাদ