পাতা:আমিষ ও নিরামিষ আহার প্রথম খণ্ড.djvu/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৩ )

একটী প্রধান লক্ষ্য। এরূপ না করিলে বাঙ্গলা খাবারের মেরুদণ্ড কোন কালেই গঠিত হইতে পারিবে না। কতকগুলি খাদ্যপ্রস্তুত প্রণালী সংগ্রহ করিয়া একটী পুস্তকাকারে প্রকাশ করা বিশেষ কিছু ফলদায়ক নহে। যেমন যুদ্ধক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ সৈন্যের সমাবেশ অপেক্ষ ব্যূহবদ্ধ মুষ্টিমেয় সৈন্যও অধিক ফলদায়ক সেইরূপ খাদ্য সম্বন্ধীর পুস্তকেও শৃঙ্খলা রচনা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। বাঙ্গলায় যে দু একটী খাদ্য সম্বন্ধীয় পুস্তক প্রকাশিত হইয়াছে সে গুলিতে এই শৃঙ্খলার একেবারেই অভাব। আমি এই কারণে নিরামিষের প্রধান খাদ্য ভাত হইতে আরম্ভ করিয়া সোপানক্রমে অন্যান্য শ্রেণীতে উঠিয়াছি। পাঠক দেখিবেন এক নিরামিষ আহারে এত বৈচিত্র্য আছে যে বিনা আমিষের সাহাধ্যে রসনার তৃপ্তির কোন অভাবই হয় না। এই পাঁচশত পৃষ্ঠার গ্রন্থেও নিরামিষ আহারের অতি সামান্য অংশ মাত্র গিয়াছে। এখনো অজস্র নিরামিষ আহার অবশিষ্ট আছে। নিরামিষের পরে তবে আমিষের শ্রেণীতে প্রবেশ করিব।

 যখন আমাদের প্রপিতামহ বিলাতে গিয়াছিলেন তখন তাঁহার সঙ্গে দেশীয় সুদক্ষ পাচকও গিয়াছিল। সেই দেশীয় পাচক-প্রস্তুত দেশীয় খাদ্য দ্রব্যের আহারে বিলাতের গণ্য মান্য লোকেরাও চমৎকৃত হইয়া গিয়াছিলেন। কিন্তু সে হইতেছে আমিষ আহার। আমরা বলিতে পারি আমাদের দেশীয় নিরামিষ আহারগুলিও এত সুস্বাহ ও এত বিচিত্র প্রকারের যে সে সকল আহারে কেহ তৃপ্ত না হইয়া যাইতে পারে না। পাঠক এই পুস্তকেই দেথিতে পাইবেন এক ভাত পাক করিবার প্রণালীই কত প্রকারের এবং তাহা কেমন সুস্বাদু। আমাদের দেশে যদিও পোলাওটা আহারের শেষের দিকেই সচরাচর দিয়া থাকে কিন্তু পাকপুস্তকে