এতদূর পর্যন্ত না হয় শোনা গেল, মানা গেল। কিন্তু তারপরও যে অনেক চিন্তা উঠে আসে। মানুষের তো সাবালক হওয়ার সুনির্দিষ্ট কোনও সময় নেই। তবে ঠিক কোন্ সময় থেকে চিত্রগুপ্ত, কেরামান, কাতেবীন ও অনা ধর্মে বিশ্বাসীদের ক্ষেত্রে তাঁদের ঈশ্বর বা ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসেব রাখা শুরু করেন?
যারা মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী, যাদের ন্যায়-অন্যায়, পাপ-পুণ্য বোধ জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত মনে দাগ কাটে না, তাদের ক্ষেত্রে চিত্রগুপ্ত, দুই ফেরেস্তা অন্য ধর্মের ঈশ্বর বা ঈশ্বর-প্রতিনিধি কীভাবে হিসেব রাখেন! তাদের মৃত্যুর পর কোনও দিনই কি বিচার হয় না? তারা তো না স্বর্গের অধিকারী, নরকের! তবে সে সব আত্মাদের কী হয়? তারা থাকে কোথায়?
যারা মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী, যাদের ন্যায়-অন্যায়, পাপ-পুণ্য বোধ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মনে দাগ কাটে না, তাদের ক্ষেত্রে চিত্রগুপ্ত, দুই ফেরেস্তা বা অন্য ধর্মের ঈশ্বর বা ঈশ্বর-প্রতিনিধি কীভাবে হিসেব রাখেন! তাদের মৃত্যুর পর কোনও দিনই কি বিচার হয় না? তারা তো না স্বর্গের অধিকারী, না নরকের! তবে সে সব আত্মাদের কী হয়? তারা থাকে কোথায়?
ফেরেস্তা দু’জন যে মানুষের কাঁধে বসে তাদের পাপ-পুণ্যের হিসেব লেখেন, কী দিয়ে লেখেন, অদৃশ্য ফেরেস্তা কি অদৃশ্য কাগজে অদৃশ্য কালি দিয়ে লেখেন? এত কিছুর পর পাপ-পুণ্যের হিসাবটা আল্লাহের কাছে দৃশ্যমান হয় তো? নাকি তাও অদৃশ্যই থেকে যায়?
পাপ-পুণ্যের হিসেবে এতবড় গোলমাল ধরা পড়ার পর পাপ-পুণ্যের বিচারক ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখি কী করে?
কারণ: চল্লিশ
মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী সৃষ্টির পিছনে ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কী? পরলোকের বিচার কি সব প্রাণীদের বেলায়-ই প্রয়োগ করা হয়?
গরুর রচনার সেই গল্পটা অনেকেরই জানা। সেই যে, সেই ছেলেটা পরীক্ষার জন্য একটি-ই রচনা মুখস্ত করে গেছে। গরুর রচনা। প্রশ্ন পেয়ে দেখে, রচনা এসেছে শ্মশানের। ছেলেটি লিখল—আমাদের গ্রামে একটি শ্মশান আছে। গ্রামবাসী কেহ মারা গেলে সেখানে তাহাকে দাহ করা হয়।
এই দুটি বাক্য লিখেই ছেলেটি শ্মশানে গরুকে এনে ফেলতে একটি লাইন
১০৭