পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পাওয়া যায়। তবে তা পেতে গেলে আচরণগত কিছু বিধি পালন, পুজো, স্তব, মন্ত্র-টন্ত্র পাঠ ইতাদি করতে হয়। মন্ত্রশক্তির সাহায্যে ঈশ্বর নামক পরমশক্তির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব।

 শ্রীমতী চট্টোপাধ্যায় ঈশ্বর দর্শন প্রসঙ্গে আরও জানিয়েছেন, “আপনার মনে যদি পবিত্রতা আসে-নির্জনে শুদ্ধচিত্তে সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে আপনি যদি তাঁর প্রতি মনঃসংযোগ করতে পারেন তাহলে তাঁকে আপনি দেখতেও পারেন।”

 শ্রীমতী চট্টোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, “শুধু তা-ই নয়, যেসব প্রিয়জন অনেকদিন চলে গেছেন, এই পৃথিবীতেই নেই খুব গভীরভাবে চিন্তা করতে পারলে, খুব মনঃসংযোগ করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারলে তাঁদেরও দেখা যায়। এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।”

 শ্রীমতী চট্টোপাধ্যায় যদি আরও একটি স্টাডি সেণ্টার খোলেন, সেই কেন্দ্রের গবেষণার বিষয়বস্তু হবে বিশ্ব নিয়ন্ত্রক শক্তির পথ-নির্দেশ ও উপদেশ গ্রহণের উপযুক্ত রিসিভার হয়ে ওঠার উপায়; দেহ বা দেহাংশ স্বরযন্ত্রের অনুপস্থিতি সত্বেও পৃথিবীর যে কোনও ভাষায় কথা বলার বিজ্ঞান; বিশুদ্ধ মন্ত্রোচ্চারণ পদ্ধতি; বিশ্বনিয়ন্তক শক্তির উপর মন্ত্রের প্রভাব; বিশুদ্ধ সত্যনারায়ণ ব্রতপালন পদ্ধতি; বিভিন্ন ব্রতপালন ও পুজোআচ্চার দ্বারা বিশ্বনিয়ম্ভক শক্তিকে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করার উপায়; ঈশ্বর দর্শন ও মৃত প্রিয়জন ও বিখ্যাতজনদের দর্শনলাভের পদ্ধতি ইত্যাদি।

 না, না; শ্রীমতী চট্টোপাধ্যায়কে একটুও ঠাট্টা করছি না। বরং আন্তরিকভাবেই চাইছি, গাছগাছড়ার ভেষজমূল্য নিয়ে গবেষণা মূলতুবি রেখে এই নব-অধ্যাত্মিক গবেষণাকেন্দ্রের কর্ণধার হয়ে বসুন। তাতে আমাদের সমাজের বিশাল লাভ হবে। ক্যানসার থেকে এইডস যে কোনও রোগ সারাবার ওষুধ তৈরির ফর্মুলা ঈশ্বরের কাছ থেকে জেনে নিলেই যখন চলবে, তখন কোনও ওষুধ নিয়ে গবেষণা চালাবার নামে পৃথিবী জুড়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ নেহাতই অর্থ ও শ্রমের অপচয় নয় কি?

 যাঁরা আমার এতদূর কথা শুনে ঠোঁটের ফাঁকে হাসছেন, তাঁদের হাসি বন্ধ করে দেওয়ার মত কথা শোনাই। শ্রীমতী চট্টোপাধ্যায়ের বয়ানেই আছে, তিনি এভাবেই নির্দেশ পেয়ে সুষনিশাক আর জটামাংসী দিয়ে মৃগীরোগের একটা দারুণ ওষুধ তৈরি করেছিলেন।

 দুষ্টেরা বলতে পারেন, কোনও কিছু নিয়ে গভীরভাবে চর্চা বা গবেষণা চালাবার সময় সেই সংক্রান্ত বহু চিন্তা উঠে আসাটাই স্বাভাবিক। এমনই উঠে আসা চিন্তাকেই শ্রীমতী চট্টোপাধ্যায় বার বার মেসেজ বলে ভুল করেছেন।

 দুষ্টদের এমন কথায় নব-অধ্যাত্মিক গবেষণা কেন্দ্রের কাজ বন্ধ করা যায় না। বরং, এমন গবেষণা সাকসেসফুলি চালাতে পারলে আর কোনও বিষয়ে

১৫৫