পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আমরা কোন সংজ্ঞাটিকে গ্রহণ করব? ঈশ্বর কি শক্তি? ঈশ্বর কি সর্বব্যাপী? নাকি ঈশ্বর শুধু জীব-ব্যাপী?


চার: ঈশ্বর কি অস্পৃশ্য মানুষ ও অভক্ষ্য বস্তুতেও বিদ্যমান?

 হিন্দু ধর্মের বিধানমত কিছু মানুষ ব্রাত্য, অস্পৃশ্য। আবার কিছু বস্তু অস্পৃশ্য, যেমন মৃতদেহ, গু, ময়লা ইত্যাদি; যা ছুঁলে স্নান করে, গঙ্গা জল ছিটিয়ে আবার নাকি পবিত্র হতে হয়। কিছু খাদ্য বস্তু অভক্ষ্য। যেমন গোমাংস। অনেক হিন্দু বা হিন্দু ব্রাহ্মণদের কাছে মাস-মাংসও অভক্ষ্য বলে বিবেচিত হয়। মুসলিম ধর্মে বিশ্বাসীদের কাছে গোমাংস অভক্ষ্য নয়। অভক্ষ্য শূয়োরের মাংস। গোময় হিন্দুদের কাছে পবিত্র হলেও মুসলিমদের কাছে অপবিত্র। পুকুরে মানুষ মল-মূত্র ত্যাগ করলে অপবিত্র হয় না, কিন্তু বিধর্মী মানুষ সে জল স্পর্শ করলে অপবিত্র হয়।

 এইসব অপবিত্র মানুষ ও বস্তু কি ঈশ্বর-আল্লাহের কাছেও অপবিত্র? তাই যদি হয়, তবে কেন এইসব অপবিত্রের সৃষ্টি করলেন ঈশ্বর?

 ঈশ্বর বাস্তবিকই কি সর্বত্র বিরাজমান? এইসব অপবিত্র মানুষ ও বস্তুর মধ্যেও বিরাজ করছেন? তাহলে কিছু কিছু মানুষ ও বস্তুকে, ধর্ম কী করে 'অপবিত্র' বলে বিধান দেয়?

 নাকি ঈশ্বর -আল্লাহের সর্বত্র বিদ্যমান থাকার ক্ষমতা নেই?


পাঁচ: ঈশ্বর কি শুধুই অনুভবের ব্যাপার?

 বিশিষ্ট গণিতজ্ঞ ডঃ দিলীপকুমার সিংহের ধারণায়, “ঈশ্বর তো আসলে একটা সেন্স অভ রিয়ালাইজেশন!” অর্থাৎ, ঈশ্বর আসলে শুধুই অনুভবের ব্যাপার। ঈশ্বরের কোনও বাস্তব অস্তিত্ব নেই বলেই পাঁচটা ইন্দ্রিয়ের কোনওটিতেই ঈশ্বরকে ধরা যায় না। শুধু ভাবুন-ঈশ্বর আছেন, তাহলেই আছেন।

 দিলীপবাবুর দেওয়া ঈশ্বর সম্বন্ধীয় এই সংজ্ঞাটি বিজ্ঞান ও যুক্তির কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য। ঈশ্বর শুধুই এক বিশ্বাসের ব্যাপার। 'আছেন’ ভাবলে আছেন; ই' ভাবলে নেই।

O

ঈশ্বর শুধুই এক বিশ্বাসের ব্যাপার! 'আছেন’ ভাবলে আছেন; ‘নেই' ভাবলে নেই।

O


ছয়: ঈশ্বরকে কি দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না?

 ইণ্ডিয়ান ন্যাশানাল সায়েন্স আকাদেমির প্রাক্তন সিনিয়ার সায়েনটিস্ট মৃণাল দাশগুপ্ত ঈশ্বরের প্রসঙ্গে বলেছেন, “সৃষ্টি থাকলেই স্রষ্টা থাকে, এটা মানতে

১৭০