পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 একজন মানুষের উদ্যোগ, কর্মপ্রচেষ্টা বা পুরুষকার কতটা সাফল্য পাবে, সেটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে সেই মানুষটি কোন সমাজ ব্যবস্থায়, কোন সমাজ কাঠামোয় বাস করছে, তার উপর।

 শেষে তাত্ত্বিকভাবে এ'কথা আমরা নিশ্চয়ই বলতে পারি, ঈশ্বর দ্বারা ভাগ্য পূর্বনির্ধারিত হলে পুরুষকার কেন, কোনও কিছুর দ্বারাই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব নয়। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সমাজের বহু মানুষের জীবনের ঘটনার সঙ্গে আপনার বা আমার জীবনের ঘটনাও জড়িয়ে আছে, জড়িয়ে থাকবে। প্রতিটি মানুষ সমাজ ও পরিবেশের নিয়ম ও শৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত। একটি মানুষও যদি পুরুষকার দ্বারা তার ঈশ্বর নির্ধারিত ভাগ্যকে পাল্টে দেয়, তবে সামগ্রিক নিয়ম-শৃঙ্খলাই ভেঙে পড়বে। সেই ভাগ্য পাল্টে দেওয়া মানুষটির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত মানুষদের জীবনের অনেক ঘটনাই বদলে যেতে বাধ্য। তখন দেখা যাবে, পুরুষকার প্রযোগ না করা সত্ত্বেও ঈশ্বরের ঠিক করে দেওয়া ভাগ্য যাচ্ছে পাল্টে।

O

একটি মানুষও যদি পুরুষকার দ্বারা তার ঈশ্বর নির্ধারিত ভাগ্যকে পাল্টে দেয়, তবে সামগ্রিক নিয়ম-শৃখলাই ভেঙে পড়বে। সেই ভাগ্য পাল্টে দেওয়া মানুষটির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত মানুষদের জীবনের অনেক ঘটনাই বদলে যেতে বাধ্য। তখন দেখা যাবে, পুরুষকার প্রয়োগ করা সত্বেও ঈশ্বরের ঠিক করে দেওয়া ভাগ্য যাচ্ছে পাল্টে।

O

ষোল: ঈশ্বর কি ভক্তের প্রার্থনা পূরণ করতে পারেন?

 বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন ঈশ্বর নিয়ে কথিত আছে, তাঁরা খুবই জাগ্রত। তাঁদের কাছে যে প্রার্থনা নিয়েই যাওয়া হোক, প্রার্থনা পূরণ হবেই। অনেকের ধারণায় ঈশ্বরের সমস্ত রকম প্রার্থনা পূরণের শক্তি আছে।

 এমন ধারণার বাস্তব রূপ থাকা কি আদৌ সম্ভব? ধরুন, ‘বাদী’ ও ‘বিবাদী' দুপক্ষই আদালতে মামলা জেতার জন্য কোনও জাগ্রত ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করল। দু'জনেরই প্রার্থনা পূরণ কি বাস্তবে আদৌ সম্ভব? না, কখনই সম্ভব নয়।

 হঠাৎ একটা ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছিলেন এক দারুণ নামী দামী পীর-হুজুর সাইদাবাদী। তিনি দাবি করে থাকেন, সন্তানহীনাকে সন্তান দান করতে পারেন আল্লার দোয়ায়। দম্পতিকে একটি মুরগির ডিম আনতে হত। হুজুর সাহেব আল্লার দোয়া প্রার্থনা করতেন। আল্লার দোয়ায় কারও কারও হাতের কাঁচা ডিম অমনি অমনি সেদ্ধ হয়ে যেত। তারপর, সেই সেদ্ধ ডিম খেলেই অবধারিত বাচ্চা।

 আমাদের সমিতির এক সদস্য দম্পতি ডিম নিয়ে গিয়েছিলেন, ডিম সিদ্ধও

১৮৩