পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ইণ্ডিয়ান র‌্যাশনালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন

 দিল্লীর ঠিকানা অফিস হিসেবে বাবহৃত হয়। প্রধান নেতা এডামারুকু। ওদের ‘র‌্যাশনালিজম' বা 'যুক্তিবাদ’-এ মাঝে-মধ্যে চালেঞ্জ উপস্থিত। অনুপস্থিত অধ্যাত্মবাদ-ধর্ম-ঈশ্বর তত্ত্বের বিরোধিতা।

 সম্প্রতি কিছু প্রচার মাধ্যমের মধ্যে ওদের শক্তিকে ফাঁপিয়ে দেখাবার প্রবণতা লক্ষ্য করছি। সংগঠন ছোট কি বড় তাতে কিছুই এসে যায় না, আমরা জানি। সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দলগুলোর বিশাল আকার আমরা দেখেছি। আবার এমনও দেখেছি আদর্শের চারাবট এখন বনস্পতি—হাতের কাছেই উদাহরণ। দশ বছরে একটা মানুষ লক্ষ মানুষ হয়েছে। আমরা দেখেছি। অতএব এক থাকাটা তত্বগতভাবে কখনই গুণগতমানের দৈন্য প্রকাশ করে না। কিন্তু দীনতা প্রকাশ করে সেইসব প্রচার-মাধ্যমগুলোর, যারা এক'কে ফাঁপিয়ে লক্ষ করার চেষ্টায় মেতেছেন। এই দীনতারই আর এক নাম 'হলদে সাংবাদিকতা'।

 বি. বি. সি-র চ্যানেল ফোরের জন্য ভারতের যুক্তিবাদী আন্দোলন নিয়ে ছবি তুলতে '৯৪-এ তিন দফা ভারত সফরে এসেছিলেন ডিরেক্টর, প্রোডিউসর রবার্ট ঈগল। এডামারুকুর সঙ্গে ঈগল যোগাযোগ করলেন। ওঁর সংগঠনের কাজ-কর্মকে ক্যামেরা বন্দি করতে চাইলেন। এডামারুকু জানালেন লোক কই? মাস তিনেক সময় পেলে কয়েকজনকে শিখিয়ে-পড়িয়ে নিতে পারি। শেখালেন। জনা চারেক ছাত্র ও জনা পঞ্চাশ দর্শক জোগাড় করতে মাস তিনেক সময় দিতে হয়েছিল।

 সংস্থা আছে। কাজের লোক নেই। স্টাডি ক্লাশ নেই। সহযোদ্ধা তৈরির প্রক্রিয়া নেই। আমাদের চেয়েও অনেক প্রাচীন সংগঠন হওয়া সত্বেও বাস্তবিক পক্ষে এখনও পুরোপুরি কাগুজে সংগঠন।

 প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, একবার প্রশ্ন করুন—তবু এইসব কাগুজে সংগঠনকে কেন ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলে আনা হচ্ছে? উত্তর আপনি নিজেই পাবেন। সেই দুটি উত্তর। আপনার-আমার-আমাদের উত্তর মিলবেই। সততার সঙ্গে খুঁজলে উত্তর যে এক-ই হবে।

 'যুক্তিবাদী' শব্দটি নিজেদের নামের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও বিজ্ঞান আন্দোলন বা যুক্তিবাদী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে, কিছু সংগঠন। তাদের চোখে 'যুক্তিবাদী আন্দোলন' বা 'বিজ্ঞান আন্দোলন'-এর সংজ্ঞা কী? সংগঠকদের বক্তব্যের মধ্য দিয়েই বুঝে নিই আসুন।


পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ

 জন্ম ১৯৮৬-র নভেম্বরে। একটি মার্কসবাদী রাজনৈতিক দলের শাখা। 'বিজ্ঞান আন্দোলনের ভূমিকা' প্রসঙ্গে মঞ্চের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য,

২০৬