বিশ্বাসীদের ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয়-ততই বেশি বেশি করে মানুষ এমন লটারি বিজেতার ‘ভাগ্য’ অর্জন করবে।
লটারি, সাট্টা, ঘোড়দৌড় ইত্যাদি যতদিন থাকবে, ততদিন ‘ঈশ্বরের কৃপাধন্য বিজেতা’ও থাকবেই। আইনের খোঁচায় লটারি-সাট্টা-ঘোড়দৌড় ইত্যাদি জুয়া বন্ধ হয়ে গেলেই ঈশ্বরের কৃপা বিলোবার ক্ষমতাও তামাদি হয়ে যাবে। মানুষের আইনের কাছে ঈশ্বরের ক্ষমতা কত অকিঞ্চিৎকর, একবার ভাবুন তো!
O
লটারি, সাট্টা, ঘোড়দৌড় ইত্যাদি যতদিন থাকবে, ততদিন ‘ঈশ্বরের কৃপাধন্য বিজেতা’ও থাকবেই। আইনের খোঁচায় লটারি-সাট্টা-ঘোড়দৌড় ইত্যাদি জুয়া বন্ধ হয়ে গেলেই ঈশ্বরের কৃপা বিলোবার ক্ষমতাও তামাদি হয়ে যাবে। মানুষের আইনের কাছে ঈশ্বরের ক্ষমতা কত অকিঞ্চিৎকর, একবার ভাবুন তো!
O
সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ক্ষমতা মানুষের ক্ষমতার কাছে কত তুচ্ছ, একবার ভাবুন তো!
কারণ: ছয়
বাবা’কে তো বিনা প্রমাণেই ‘জন্মদাতা’ বলে বিশ্বাস করেন, তাহলে ঈশ্বরের বেলায় খালি ‘প্রমাণ চাই’ ‘প্রমাণ চাই’ বলে চেঁচান কেন?
বছর কয়েক আগের ঘটনা। কলকাতা পুস্তক মেলায় আমাদের সঙ্গে তুমুল বিতর্ক বাধিয়ে তুলেছিলেন এক আর্চ-বিশপ। বিতর্কের বিষয়-ঈশ্বর বিশ্বাস। তুমুল বিতর্ক, যুক্তি ও পাল্টা যুক্তির লড়াই দেখতে ভিড়ও তুমুল। আর্চ-বিশপের যুক্তিগুলো ছিল প্রাথমিকভাবে খুবই আকর্ষণীয়। এবং জনচিত্তে প্রভাব সৃষ্টিকারী। আর্চ-বিশপের বক্তব্য তলায় দিলাম।
আমরা কজন নিজের প্রপিতামহকে দেখেছি? প্রায় কেউই দেখিনি। তবু আমরা প্রপিতামহের নাম তো বলি। তাঁকে না দেখলেও তিনি ছিলেন, এই বিশ্বাসেই বলি।
আমাদের বাবার নাম জিজ্ঞেস করলে, আমরা মায়ের স্বামীর নামই উল্লেখ করি। তিনি যে বাস্তবিকই আমাদের জন্মদাতা বাবা, তার প্রমাণ কী? এখানেও তো আমরা আমাদের বিশ্বাসকেই আঁকড়ে ধরি।
আমরা সম্রাট আকবরকে দেখিনি, গৌতম বুদ্ধকে দেখিনি। তবু বিশ্বাসকরি ওঁরা ছিলেন। কোনও প্রত্যক্ষ বা চাক্ষুস প্রমাণ ছাড়াই শুধুমাত্র বিশ্বাসের