অনো ভুল ধারণা নিয়ে, বোকা-বোকা ধারণা নিয়ে বেঁচে থাকুক, এমনটা চান। কেন চান? ওইসব অজ্ঞতা না ভাঙিয়ে বিজ্ঞের এক নতুন শ্রেণী সৃষ্টির চেষ্টায় কি?
ঈশ্বরজাতীয় কল্পনার শুরু তো মাত্র আঙুল গোনা কয়েক হাজার বছর আগে। তার আগে মনুষ্য প্রজাতি পৃথিবীতে টিকে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে ছিল কার উপর ভরসা করে?
O
ঈশ্বরজাতীয় কল্পনার শুরু তো মাত্র আল গোনা কয়েক হাজার বছর আগে। তার আগে মনুষ্য প্রজাতি পৃথিবীতে টিকে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে ছিল কার উপর ভরসা করে?
O
নিশ্চয়ই নিজের উপরই ভরসা করে।
কারণ: এগারো
এইসব নিরীশ্বরবাদ-টাদ আর কদ্দিন? রক্তের জোর ফুরোলেই তো খেল খতম?
আমার এক অধ্যাপক বন্ধু প্রাক্তন নকশাল নেতা, অধুনা তিনি লেখায় ও কথায় মার্কসবাদের সঙ্গে অধ্যাত্মবাদের মেলবন্ধনে সচেষ্ট। ফি বছর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিদেশ যান। বিবেকানন্দের চোখে তিনি এখন দেখতে পান ভারত-আত্মাকে। রামকৃষ্ণের ভিতরে বিজ্ঞানেরও বিজ্ঞানকে। এক সন্ধায় কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসে কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে আমাকে বললেন, “রক্তের জোর থাকলে সবকিছুকেই নাকচ করার ঔদ্ধত্য আসে। রক্তের জোর কমলেই ঔদ্ধত্যের জায়গায় আসে স্থিতি। নেতির জায়গায় ইতি। আর তখন সেই ইতির বোধ থেকেই আত্মা, পরমাত্ম ঈশ্বর ইত্যাদির অস্তিত্ব ভাস্বর হয়ে ওঠ।”
এই একই সুরের কথা বহু সাধারণ মানুষের কষ্ট থেকেও উঠে আসে, এখন রক্তের জোর বেশি, তাই ঈশ্বর মানেন না! রক্তের জোর কমলেই দেখতে পাবেন! কত নাস্তিক বুড়ো বয়সে আস্তিক হয়েছেন!”
হাতেই পারে। এমন ঘটনা বার বার ঘটতে পারে, কিন্তু তাতে ঈশ্বরের অস্তিত্ব তো আদৌ প্রমাণিত হল না। বরং এ’কথাই প্রমাণিত হল—বার্ধক্যের দুর্বলতার রন্ধ্র পথে, মৃত্যু ভয়ের পথে প্রবেশ করে ঈশ্বরজাতীয় কল্পনা।
আবার এর বিপরীত ঘটনাও বারবার ঘটতে দেখেছি, বরং বলা ভাল—দেখেই চলেছি। শান্তিদা, দুই জ্যোতিদা, উমাদা, রাসবিহারীদা, কামাক্ষাদা, নৃপেনদা, বেলাদি, সুনেত্রাদি, কাঞ্চনদি’র মত বহু আস্তিক, পরম ঈশ্বর-বিশ্বাসী,