পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

স্তন্যপায়ীদের জনোই যথেষ্ট জায়গা ছিল না। আর স্তন্যপায়ীরা তো সমগ্র প্রাণিকূলের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটি ভগ্নাংশ মাত্র। তারপরও তো রয়েছে সক্কলের জন্য নিদেন বেশ কয়েক মাসের খাবার-দাবার রাখার জায়গায় প্রশ্ন। সমস্ত পৃথিবী মহাপ্লাবনে শেষ হয়ে যাওয়ার পর জল সরলেও খাবার মিলবে কোথা থেকে?

 বাঘ, সিংহের মত মাংসাশীরা যে মাংস খবে, সেই সব মাংসল প্রাণীরা কোথায়? গরু, মোষ, ছাগল, ভেড়া, ইত্যাদির মত তৃণভোজী প্রাণীদের জন্য তৃণ কোথায়? হাতি, জিরাফ, ইত্যাদি প্রাণীদের খাওয়ার মত গাছ-গাছড়া কোথায়?

 তিমি থেকে ভোঁদড় পর্যন্ত মৎসাভোজীদের জন্য মাছ কোথায়? সবার খাবার আবার নতুন করে যত দিন না পৃথিবীর বুকে আবির্ভূত হচ্ছে, ততদিন তো এই নোয়ার জাহাজে রেখে দেওয়া খাবার খেয়েই প্রাণটা রাখতে হবে। অতএব জাহাজে খাবারের স্টক বেশ কয়েক মাসের বদলে বেশ কয়েক বছরের রাখাটাই স্বাভাবিক নয় কি? ওই বিশাল পরিমাণ খাদ্য রাখার জায়গা চাই। কিন্তু জাহাজে জায়গা কই?

 এটা এখন নিশ্চয়ই স্পষ্টতর হয়েছে, মহাপ্লাবনের মতই নোয়ার জাহাজের ধর্মীয় বিশ্বাসও উদ্ভট কল্পনা বই কিছু নয়।



কারণ: আঠেরো

'ফেরেস্তা', 'বেহেস্ত' ও ‘দোজখ’ তৈরিতে আল্লাহের পরিকল্পনার অভাব এবং গোর আজাবে পক্ষপাত কেন?


মুসলিম ধর্মে বিশ্বাসীরা মনে করেন, 'বেহেস্ত' ও 'দোজখ’ সৃষ্টি হলেও সম্পূর্ণ অব্যবহৃত অবস্থায় তা পড়ে রয়েছে। এই দু’য়ের ব্যবহার শুধু হবে 'কেয়ামত' বা ‘মহাপ্রলয়'-এর পর। 'মহাপ্রলয়' কবে শুরু হবে? এস্রাফিল ফেরেস্তা যবে শিঙায় তিনবার ফুঁ দেবে। শিঙায় ফুঁ পড়তেই বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড অর্থাৎ আল্লাহের যাবতীয় সৃষ্টিই ধ্বংস হয়ে যাবে। থাকবেন শুধু আল্লাহ এবং তাঁর তৈরি বেহেস্ত ও দোজখ। এস্রাফিল ফেরেস্তা কে? একজল ফেরেস্তা। ফেরেস্তা কী? বলা চলে আল্লাহের দূত। এরা স্বর্গ-মর্ত্য সব জায়গাতেই বিচরণ করেন। আল্লাহ বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছিলেন। সৃষ্টির পর পালনের জন্য আল্লাহ সৃষ্টি করলেন অসংখ্য ফেরেস্তা। (তবে কি আমরা ধরে নেব-সৃষ্টিকে পালন করার ক্ষমতা সর্বশক্তিমান আল্লাহের ছিল না, তাই ফেরেস্তাদের সাহায্য গ্রহণ?)

 ফেরেস্তাদের মধ্যে প্রধান চারজন (১) জেব্রাইল, (২) মেকাইল, (৩) এস্রাফিল, (৪) আজ্রাইল।

৪২