পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ইত্যাদি করার প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকার করেন। এঁদেরই অনেকে আবার শব্দ = বুহ্ম বলে, বিশেষ ভাবে বিশেষ মন্ত্রোচ্চারণের সাহায্যে পরমব্রহ্মের সঙ্গে যোগাযোগ ও পরমব্রহ্মকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে বিশ্বাস করেন। বাস্তবে এসবই তাঁদের অলীক চিন্তা। এসবের কোনওটির দ্বারাই প্রকৃতিকে সামান্যতমও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি, সম্ভব হবেও না।


কারণ: কুড়ি

ঈশ্বর মানুষকে ‘নিয়তি' দিয়েছেন? না, 'সৃজনীশক্তি'?


ঈশ্বর যে 'নিয়তি’ বা ‘ভাগ্য' নির্ধারণ করেন—এমনটা বহু ঈশ্বর-বিশ্বাসীরাই মনে করে থাকেন।

 আবার এমনটাও অনেকেই মনে করে থাকেন—'প্রতিভা' বা ‘সৃজনীশক্তি' ঈশ্বরেরই দান। তাই যদি না হবে, তবে আর একটা রবীন্দ্রনাথ, আর একটা আইনস্টাইন কেন জন্মাচ্ছেন না?

 আবার এমনও অনেকে আছেন? যাঁরা মনে করেন ঈশ্বর একই সঙ্গে মানুষের নিয়তির নিয়ন্তা এবং সৃজনীশক্তির স্রষ্টা।

 প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, একবার ভাবুন তো, ঈশ্বরের পক্ষে একই সঙ্গে মানুষের ভাগ্যকে পূর্বনির্ধারিত করে দেওয়া এবং সৃজনীশক্তির অধিকারী করে দেওয়া সম্ভব কি না! উত্তর একটাই পাবেন—সম্ভব নয়। কারণ, ভাগ্য আগে থেকেই ঠিক থাকলে সৃজনীশক্তি অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। আর, সৃজনীশক্তিতেই মানুষ যদি সব কিছু গড়ে তোলে, তাহলে ভাগ্যের ভূমিকা 'ফালতু’ হয়ে পড়ে।

 প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, আর একটা দিক থেকে ভাবুন তো, মানুষ তার সৃজনীশক্তিতেই যদি সব কিছু গড়ে তোলে, মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যায়, তবে ঈশ্বরের নিয়ন্ত্রণ শক্তি কি তলানিতে এসে ঠেকে না? মানুষই কি মানব সভ্যতার নিয়ন্তক শক্তি হয়ে দাঁড়ায় না?


O

মানুষ তার সৃজনীশক্তিতেই যদি সব কিছু গড়ে তোলে, মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যায়, তবে ঈশ্বরের নিয়ন্ত্রণ শক্তি কি তলানিতে এসে ঠেকে না? মানুষই কি মানব সভ্যতার নিয়ন্তক শক্তি হয়ে দাঁড়ায় না?

O

৪৭